পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রাবলীর এই খণ্ডে শু্যামল নিত্যোজ্জল রবীন্দ্রমানসের প্রকাশ তার শত পাঠকের মতো আমার কাছে লিপিসাহিত্যে নতুন বিস্মিত ঘটনা, বিশেষ অর্থে তার ব্যক্তিগত স্নেহের এই দান আমার কাছে পারমিক। এবং সেই কারণে প্রাসঙ্গিক তথ্যগত অালোচনা আজও আমার পুণ্যতম স্মৃতির বিরুদ্ধে বলে জেনেছি ; কোনোদিনই জীবনে সেই দূরত্ব ঘটল না যাতে র্তার সঙ্গে আত্মীয়-সম্বন্ধের আশ্চর্য বহু অধ্যায় পেরিয়ে বিশিষ্ট যোগাযোগের বিষয়ে কিছু লিখতে পারি। ষোলো বছর বয়সের অজ্ঞাত কিশোরকে লেখা ১৯১৭ সালের পত্র এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ— শোকে অমুকম্পায়ী নিবিড় বিশ্বাস তিনি কোন দুর আসামের পত্ৰলেখককে পাঠিয়েছিলেন, তাকে উদ্ধার করেছিলেন– তার পরে প্রায় চব্বিশ বছর ধরে চিস্তায় চিত্রণে সমৃদ্ধ, ঘরোয়া নানা উল্লেখে স্নিগ্ধ তার পত্রলিপি দেশে বিদেশে আমাকে ধন্য করেছে। প্রত্যেক চিঠি তার মুক্তাক্ষরে রচিত একটি অভাবনীয় উপহার, ভাষায় ছিল তার কণ্ঠস্বর, যোগ্যতার কথা ভুলে গিয়ে গ্রহণের অধিকার মেনেছি। দীর্ঘকাল তার সান্নিধ্যে ছিলাম বলে চিঠির অবকাশ ঘটে নি কিন্তু সহকারীরূপে র্তার সদ্যরচিত বহু পত্রাবলীর পরিচয়ে বঞ্চিত হই নি, আশ্চর্য হয়েছি সামান্যতম চিঠির চকিত আলোয়, অজস্রত্ব এবং বৈচিত্র্যে, দ্রুতশিল্পের বিশ্বজনীন রূপে । ১৯১৭ সালের চিঠি পাবার কিছু পরেই কবির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় শান্তিনিকেতনে, শ্রদ্ধেয় প্রমথ চৌধুরী আমাকে নিয়ে যান। ১৯২১-এ বিশ্বভারতীর অঙ্কুশীলন ছাত্ররূপে এবং স্বল্প অধ্যাপনার দায়িত্বে আবদ্ধ হলাম ; ১৯২৪ থেকে ১৯৩৩ পর্যস্ত রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যিক-সহকারী ও মধ্যে মধ্যে সহযাত্রীর পালা। ইংলণ্ডে, যুরোপে, মার্কিনদেশে ইরানে এবং স্বদেশের নানা স্থানে তার সঙ্গে