পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

راه و ۹ ৬ জানুয়ারি ১৯৩৫ শান্তিনিকেতন \ર્ક কল্যাণীয়েযু চার অধ্যায় প্রকাশ করে দিয়েছি। বিশ্বাস করিনে কৰ্ত্তারা ওটা বন্ধ করে দেবে— বন্ধ করবার ন্যায্য কারণ কিছুমাত্র নেই, তৎসত্ত্বেও যদি উপদ্রব করে তবে সেটা বোকামি হবে। বোকামির বিরুদ্ধে সতর্ক হবার দরকার বোধ করিনে । যাই হোক বইখানা যখন প্রকাশিত হোলোই তখন ওটা তর্জমা করবার কোনো হেতু রইলন। “সাহিত্যের প্রাণধারা বয় ভাষার নাড়ীতে, তাকে নাড়া দিলে মূল রচনার হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। এরকম সাহিত্যে বিষয়বস্তুটা নিশ্চেষ্ট হয়ে যায়, যদি তার সজীবতা না থাকে ৮ এবারে আমারই পুরানো তর্জমা ঘাটতে গিয়ে একথা বারবার মনে হয়েচে । তুমি বোধ হয় জানো বাছুর ম’রে গেলে তার অভাবে গাভী যখন দুধ দিতে চায়ন, তখন মরা বাছুরের চামড়াটা ছাড়িয়ে নিয়ে তার মধ্যে খড় ভৰ্ত্তি করে একটা কৃত্রিম মূৰ্ত্তি তৈরি করা হয়, তারি গন্ধে এবং চেহারার সাদৃশ্যে গাভীর স্তনে দুগ্ধক্ষরণ হতে থাকে। তর্জমা সেইরকম মরা বাছুরের মূৰ্ত্তি— তার আহবান নেই ছলনা আছে। এ নিয়ে আমার মনে লজ্জা ও অনুতাপ জন্মায়। সাহিত্যে আমি যা কাজ করেছি তা যদি ক্ষণিক ও প্রাদেশিক না হয়, তবে যার গরজ সে যখন হোক আমার ভাষাতেই তার পরিচয় লাভ করবে। পরিচয়ের >\つ>