পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্বরতার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত। অবশেষে নিজের স্বার্থকে চিরস্থায়ী প্রভেদকে যে প্রশস্ত করে দিলে এও উক্ত প্রকার বিষপ্রয়োগেরই অনুরূপ। কোনো এক সময়ে যুরোপে যখন প্রলয়কাও ঘটবে তখন ইংরেজের শিথিল মুষ্টি থেকে ভারতবর্ষ খসে পড়বেই। কিন্তু ভারতবর্ষের মতো এত বড়ো দেশে দুই প্রতিবেশী জাতির মজ্জায় মজ্জায় এই যে বিষবীজ সে রোপণ করে দিয়ে গেল কবে আমরা তাকে উৎপাটিত করতে পারব ? একটা জাতির ভাবী ইতিহাসকে এমনতর কলুষিত করে দিলে ; সভ্য যুরোপের সঙ্গে সম্পর্কের এই নিদারুণ পরিশিষ্ট ভারতবর্ষকে সুচিরকাল বহন করতে হবে। আজ আগা খ এসেছেন সেই সৰ্ব্বনেশে সভ্যতার দূত হয়ে আমাদের মৃত্যুশেল নিয়ে। আমরা নিরস্ত্র আমরা নিঃসহায়, বিনাশের সঙ্গে লড়ব কী করে ? পঞ্জাবে হিন্দুমুসলমানের মধ্যে যে বিচ্ছেদের ছবি দেখে এলুম তা অত্যন্ত দুশ্চিন্তাজনক এবং লজ্জাকর রূপে অসভ্য। বাংলার অবস্থা তো জানোই— এখানে উভয়পক্ষের বিকৃতসম্বন্ধের ভিতর দিয়ে প্রায়ই যে সব বীভৎস অত্যাচার ঘটচে তাতে কেবল অসহ্য দুঃখ পাচ্চি তা নয়, আমাদের মাথা হেঁট করে দিলে । ভালো করে ভেবে দেখলে বুঝতে পারি একটা কোনো আকস্মিক অভাবনীয় উপপ্লব না ঘটলে এই নাগপাশবন্ধন আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব না। ভারতবর্ষ যে ইংরেজের একান্ত লোভের সামগ্ৰী ; তার বিষয়সম্পত্তির সামিল ; একে Ֆ 8 Հ