পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পোলিটিকাল আন্দোলনে যোগ দেওয়া আমার স্বধৰ্ম্মবিরুদ্ধ। এতকাল ধরে আমি যে কৰ্ম্মের ভূমিকা রচনা করেছি আমাদের দেশের পোলিটিকাল আলোড়নের তাধি তার হাওয়াকে আবিল করে দিতে পারে এই আশঙ্কা বরাবর আমার মনে ছিল। সাধারণত পলিটিকসের উন্মাদনায় বহুল পরিমাণে যে মিথ্যা যে অত্যুক্তি যে দলাদলির বিদ্বেষবিষ উগ্র করে তোলে তার দূষিত সংক্রামকতা থেকে শান্তিনিকেতনের ছাত্র ও ছাত্রীদের মনকে সতর্কভাবে রক্ষা করবার চেষ্টা করেছি। তুমি তো জানো যখন কিছুকালের জন্যে আমেরিকায় বক্তৃতার নিমন্ত্রণে আশ্রম থেকে দূরে ছিলেম তখন সেই সময়কার পলিটিকসের বেনোজল প্রবলবেগে আশ্রমকে আক্রমণ করেছিল, তার উচ্ছৃঙ্খলতা তার পঙ্কিলতা থেকে শান্তিনিকেতনকে প্রকৃতিস্থ করতে দীর্ঘকাল সময় লেগেছিল। যে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে আজ আমরা ঝগড়া করছি তাতে একপক্ষ আজ প্রশ্রয় পেয়েছে বটে, কিন্তু আমাদের পক্ষের অনেকেরই মনে তার তাপ আটানববই ডিগ্রির যথেষ্ট উপরে। এই বহুকালীন সাম্প্রদায়িক চিত্তবিকার যে আমাদের দেশের সাৰ্ব্বজাতিক কল্যাণের ভিত্তিকে জর্জর করে রেখেছে সে কথা উপলব্ধি করার মতো বিবেচকতা এবং স্বীকার করার মতো সাহস তাদের নেই । শান্তিনিকেতনের সাধনক্ষেত্রে এই সাম্প্রদায়িকতার কাটা গাছ যাতে কোনোমতে শিকড় গাড়তে না পারে সেজন্তে আমার মনে সৰ্ব্বদাই উদ্বেগ আছে। ভারতশাসনযন্ত্র ইংরেজজাতি দ্বারা চালিত । এই কারণে >b-b"