পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্ষণজীবনের তরণীকে আয়ুর সীমানা পারের দিকেই লগি ঠেলে চালাচ্চি। তার মানে নিজের ভিতর থেকে সেই অভিজ্ঞতাকে রচনা করতে চাচ্চি অন্তকালে অন্যেরা যাকে আদর ক’রে আপন অভিজ্ঞতার সঙ্গে গেথে নেবে। অন্তের অনুভূতির স্রোতে নিজের অনুভূতিকে ভাসিয়ে দিয়ে তাকে দূর ভবিষ্যতের ঘাটে ঘাটে চালান করে দেওয়া, অর্থাৎ এমন ব্যবসা করা, যার পাওনা জমতে থাকে প্রেতলোকের খাতাঞ্চিখানায়, কারো ভোগে আসে না,— হয়তো সারাজীবন লোকসান দিয়ে যখন ডিভিডেন্ট ডিক্লেয়র্ড হয় তখন তহবিল হয় অদৃশ্য। অথচ এই পাওনার দাবী নিয়ে যে হাতাহাতি চলে, তা কোম্পানির কাগজের স্বত্বের মকদ্দমার চেয়ে কম উষ্মাজনক নয়, এমন কি এতে পিছন দিক থেকে গুপ্ত ছুরি মারামারিও চলে । বয়স যখন অল্প ছিল তখন এই মরীচিকাসম্পদের জন্তে লোভ ছিল প্রবল । সাহিত্যিক ভাষায় যাকে অমরতা বলে থাকে, যার স্বত্বসাব্যস্তের নিশ্চিত দলীল মহাকালের বড়ো আদালত থেকেও সব সময়ে পাওয়া যায় না সেটা আমার নামে রেজেক্টরি হয়ে গেছে বলে বিরুদ্ধপক্ষের সঙ্গে, প্রকাশ্বে না হোক মনে মনে তক্রার করেছি, এখন তা নিয়ে স্বগত উক্তিতেও সময় নষ্ট করতে প্রবৃত্তি হয় না। নামের ঝুলিতে যা জমা হয় কী হবে তার দাম যাচাই করে। এতদিন ধরে যে ফসল ফলিয়েছি, যার কিছু উঠেছে মরাইয়ে কিছু ছড়িয়ে আছে ক্ষেতের মধ্যে, সে সমস্ত ভাণ্ডারে তুলে থাকে থাকে ভাগ করে গুছিয়ে রাখবার জন্যে ૨૦ ઝિ