পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডিত্য নেই এ কথা আমার নিতান্ত জানা— তার চেয়ে বেশি জানা গানের ভিতর দিয়ে অব্যবহিত আনন্দের সহজবোধ । এই সহজ আনন্দের নিশ্চিত উপলব্ধির উপরে বাধা আইনের করক্ষেপ আমাকে একটুও নাড়াতে পারেনি। এখানে আমি উদ্ধত, আমি স্পৰ্দ্ধিত আমার আন্তরিক অধিকারের জোরে । গান বচনের অতীত বলেই ওর অনির্বচনীয়তা আপন মহিমায় আপনি বিরাজ করতে পারে যদি তার মধ্যে থাকে আইনের চেয়ে বড়ো আইন। গান যখন সম্পূর্ণ জাগে মনের মধ্যে, তখন চিত্ত অমরাবতীতে গিয়ে পৌছয়।v এই যে জাগরণের কথা বলচি তার মানে এ নয় যে সে একটা মস্ত কোনো অপূর্ব স্বষ্টি সহযোগে । হয় তো দেখা যাবে সে একটা সামান্য কিছু— কিন্তু আমার কাছে তার সত্য তার অকৃত্রিম বেদনার বেগে । কিছুদিন পরে তার তেজ কমে যেতে পারে, কিন্তু যে সম্ভোগ করেছে তাতে তার কিছু অাসে যায় না যদি না সে অন্তের কাছে বকশিশের বাধা বরাদ দাবী করে। নতুন রচনার আনন্দ আমি পদে পদে ভুলি, গাছ যেমন ভোলে তার ফুল ফোটানো । সেই জন্যে অন্যেরা যখন ভোলে সে আমি টেরও পাই নে। যে ছন্দ উৎস বেয়ে অনাদিকাল ধরে ঝরচে রূপের ঝরনা তারই যে কোনো একটা ধারা এসে যখন চেতনায় আবর্তিত হয়ে ওঠে এমন কি ক্ষণকালের জন্তেও, তখন তার যে জাছতে কিছু-না রূপ ধরে কিছু একটার, সেই জাকুর স্পর্শ লাগে কল্পনায়— যেন ইন্দ্রলোকের থেকে বাহবা এসে পৌছয় আমার মর্ত্যসীমানায়— সেই দেবতাদের উৎসাহ a ●●