পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলতে পেরেছেন এ বইয়ে তার অনেক পুরোনা মতের সঙ্গে র্তার এখনকার মত মেলে না অথচ তাই বলে তার কাছে সেগুলো পরিত্যাজ্য বলে মনে হয় নি, কেন না তিনি মননবিলাসী। গীতার সঙ্গে এই ভাবটার সুর মেলে, যে গীতা বলেন ফলের দিকে দৃষ্টি রেখে না। যে সাধনার মূল্য সাধনাতেই প্রকাশ পায় বিশেষভাবে সিদ্ধিতে নয় তার এই দশা । কিন্তু তার লেখার কোন এক জায়গায় মনে হয়েছিল তিনি “আর্ট ফর আর্টস সেক” মতটাকে বুঝি অমান্য করেছেন। যদিচ তার ব্যবহারে তার প্রমাণ পাই নি । তিনি ভাবতে ভালোবাসেন সেই ভালোবাসাটাই তার দান । আর্টিস্ট মাত্রেরই চরম শক্তি, প্রকাশ করবার ভালোবাসায় । গদ্যে সুধীন্দ্রনাথ মননের আর্টিস্ট। তার একটা পরিচয় পাই ভাষার শব্দের উপরে তার একান্ত অনুরাগে । যারা যথার্থ সাহিত্যিক, শব্দে তাদের নেশা । এই নেশার মেীতাৎ দুই জাতের । রসসাহিত্যে ধ্বনি আর রূপকের ব্যঞ্জনা প্রধান উপকরণ, মনন-সাহিত্যে যাথার্থ্যের সূক্ষ্মবোধ। অধিকাংশ পারিভাষিক শব্দে তার অর্থটা আভিধানিক চাপে কঠিন দানা বেঁধে গেছে, সে অর্থ ব্যবহারের দ্বারা স্বীকৃত, চেহারার দ্বারা পরিচিত নয়। সুধীন্দ্রনাথ তার বইয়ে প্রয়োজন অনুসারে বিস্তর নতুন শব্দ চালিয়েছেন যাদের অর্থগুলি সজীব । তত্ত্বসাহিত্যে র্তার জ্ঞান আছে তবু তিনি তত্ত্বজ্ঞানী নন, তিনি আর্টিস্ট । র্তার মননের আনন্দ বাছাই-করা শব্দের খেয়ায় চেপে বসেছে। শব্দগুলি অপরিচিত সুতরাং সাধারণ পাঠককে 3S2 с