পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুঝতে বাধা দেবে এ দুশ্চিন্তা তাকে ঠেকায় নি। র্তার লক্ষ্য মুখ্যত রচনার প্রতি গৌণত পাঠকদের দিকে। কেননা পাঠক সম্প্রদায়ট স্থাণু নয় সে সচল— সে কোনো এক বিশেষ যুগের শিকলে বাধা জীব নয়— না আধুনিকের না সনাতনের। যে লোক বাধা যুগের বেতনে লোভ রাখে তার লেখা ঋতু পরিবর্তনের বিদায় হাওয়ায় ঝরা পাতার মতো খসে পড়ে। কিন্তু জল্পনা করে লাভ নেই। কোন রচনা যে চলতি যুগের রথে চলেছে চিরন্তনের গম্যস্থানে তার নিশ্চিত পরিচয় পাব কার কাছ থেকে । “সময়হারা” বলে একটা কবিতা লিখেছিলুম তার মূলকথাটা এই, বর্তমানে আমরা সময় হারাতে পারি কিন্তু ভবিষ্যতের সুস্বপ্নের পথ হারাই নে, হতভাগার শেষ সম্বল ঐটে, চেম্বরলেনের শান্তির আশার মতো । ও কথা যাক। আমি বলতে যাচ্ছিলুম যোগ্য লেখকের প্রধান নির্ভরদণ্ড তার সাহস । তার লক্ষ্য লেখার দিকে, পাঠকের দিকে নয়। সুধীন্দ্রের ঐ গুণটি দেখেছি, তিনি পাঠকদের কাছে পাওনা হিসাব করে দমে যান নি। র্তার লেখা পড়ে অল্প লোক। রসসাহিত্যে লোকের ভিড় অসহ ; কাউকে কোন টিকিট দেখাতে হয় না। এই বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার বাংলা দেশের মনকে অলস করে দিয়েছে, এখানে অযোগ্যের অহংকারে কোনো বাধা নেই। মনন-সাহিত্যে অনুশীলনের অপেক্ষা আছে, সেটা কুঁড়ে মনের কর্ম নয়। সেইজন্যে আমাদের দেশে ঐ বিভাগে বক্তা শ্রোতা চ দুৰ্লভঃ । সুধীন্দ্রনাথের এই বইখানিতে জমেছে তার মনন-সাধনার ミや>