পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে সমুদ্রের হাওয়া যে শুশ্রীষা শীতল হাত বুলিয়ে দিচ্চে সেটা নূতন দায়িত্বপ্রাপ্ত উড়িষ্যাপ্রদেশের আতিথ্যের প্রতীক। রাষ্ট্রক কর্মবিধির মধ্যে এ কোনো বাধা পায় নি, একে সঙ্কুচিত করে নি বাজেটসভার কৃপণতা। সার্কিটহোসের দোতলায় অসঙ্কোচে বসে অবিমিশ্র অকৰ্মণ্যতায় আত্মসমপণ করে দিয়েছি ; এখানকার সচিবের আমার ক্লান্ত স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য করে প্রত্যহ এসে আমার এই অনাবশ্যক দিনযাপনকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্চেন। কঠোর কর্তব্যক্ষেত্রের মাঝখানেও মানবসম্বন্ধের আত্মীয়তা স্বীকার করবার যে মনোবৃত্তি আমাদের দেশের নাড়ীর মধ্যে রয়ে গেছে, সেই কথাটা এখানে এসে বিশেষ করে অনুভব করেছি। উড়িষ্যার বর্তমান রাষ্ট্রশাসনের ভার র্যারা গ্রহণ করেছেন র্তাদের প্রজাবাৎসল্য এবং বিচক্ষণতা দূরের থেকে অনুমান করেছিলুম, এখন নিকটের থেকে অনুভব করচি। এই সঙ্গে মনে একটা আশঙ্কা জাগে যখন দেখি উড়িষ্যার এই সৌভাগ্যের গৌরব সকল দলকে অন্তরে অন্তরে একত্র করতে পারেনি। যখন দূরের থেকে আমরা রাষ্ট্রিক মুক্তির কামনা করেছিলুম তখন স্বপ্নাবেশে তার মহার্ঘ্যতা দীর্ঘকাল কল্পনা করেছি। কিন্তু শুভাদৃষ্টের দান যখন হাতে এল তখন তার মূল্য সম্পূর্ণ উপলব্ধি করবার যোগ্য মনোবৃত্তি দেখতে পাচ্চি নে। তাই দেখা গেল এখানকার একদল ছাত্র আপন নবলব্ধ রাষ্ট্রসম্পদের মর্যাদা নষ্ট করে তাকে সর্বজনের কাছে অশ্রদ্ধেয় করবার জন্যে উঠে পড়ে লাগতে সংকোচ করলে না। তুমি তো যুরোপের

ግ >