পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যায়তনের সঙ্গে সুপরিচিত, তার কর্মধারাকে অবরুদ্ধ করবার জন্য এরকম হাস্যকর বাল্যলীলা কখনে! দেখেছ কি ? এরকম উপদ্রব এ দেশে আজকাল দেখতে দেখতে ছড়িয়ে পড়চে, বিদ্যাসাধনার শান্তি ও গাম্ভীর্য নষ্ট করে দিচ্চে। এই কৌতুকাবহ শোচনীয় কাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল যখন আমাদের পোলিটিশানেরা আপন দলাদলির স্বার্থসিদ্ধির জন্যে তরুণের জয়ধ্বনিতে ছাত্রদের বুদ্ধিস্থৈর্য ও আত্মসংযম রক্ষার প্রয়োজনকে উপেক্ষা করতে শেখালেন, এমন কি তাদের অন্যায় আবদারকে নির্বিচারে প্রশ্রয় দিতে লাগলেন। সেদিন আমি অত্যন্ত লজ্জাবোধ করেছিলুম, এবং বুঝেছিলুম এতে করে রাষ্ট্ৰতপস্যার মূলে লাগিয়ে দেবে দুর্বলতার বিনাশ শক্তি। ছেলেমেয়েদের আবেগ-প্রবণ মনে আত্মশ্লাঘার বেগে তাদের শ্রদ্ধাভক্তি ও বিচারবুদ্ধিকে গোড়া থেকে শিথিল করে দিয়ে আমাদের কর্মক্ষেত্রের যে হাওয়া দূষিয়ে দেওয়া হয়েছে তার থেকে সহজে নিস্কৃতি পাব না। রাষ্ট্রসম্পদ যাদের অনেককালের সাধনার জিনিষ এবং যাদের কাছে পরমমূল্যবান তারা দলগত পরস্পর তীব্র বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও এর সম্মান বিস্মৃত হয় না। প্রয়োজন বোধ করলে তারা আঘাত লাগায় বাইরের দিকে, গোড়ার দিকে নয়। আজকের দিনে চেম্বরলনি সঙ্কটে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। চেম্বরলেন গায়ে পড়ে ছাতাহাতে ফ্যাসিষ্টব্যুহের মধ্যে মাথা হেঁট করে ঢুকে পড়লেন, যুদ্ধবিভীষিকায় আতঙ্কিত যুরোপে আশু শান্তির আশ্বাস সগর্বে ঘোষণা করে দিলেন, পরক্ষণেই २ १२