পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসামান্য ব্যক্তিস্বরূপের প্রতিভার উপরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কালে কালে তার সংস্কারসাধনের তার সমাপরিবর্ধনের প্রয়োজন নিশ্চয় ঘটবে তা জানি। কিন্তু চঞ্চল হয়ে বর্তমানের সঙ্গে হঠাৎ তার সামঞ্জস্তে আঘাত করে একটা নাড়াচাড়া ঘটাতে গেলে মন্দিরের ভিৎ হবে বিদীর্ণ। প্রাণবান স্থষ্টির ধারাকে বাচিয়ে রেখেও বড়ো রকম বিপর্যয় সাধন করবার যোগ্য অসামান্ত চারিত্রশক্তি এ দেশে সম্প্রতি কোথাও দেখা যাচ্ছে না সে কথা স্বীকার করতেই হবে। দেশের যে একটা মস্ত মিলনতীর্থ মহাত্মাজীর শক্তিতে গড়ে উঠেছে এখনো সেটাকে তারি সহযোগিতায় রক্ষা করতে ও পরিণতি দান করতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তুমি জানো আমার স্বভাবটা একেবারেই সনাতনী নয়— অর্থাৎ খুটিগাড়া মত ও পদ্ধতি অতীত কালে আড়ষ্ট ভাবে বদ্ধ হয়ে থাকলেই যে শ্রেয়কে চিরন্তন করতে পারবে এ কথা আমি মানি নে। বর্তমান কনগ্রেস যত বড়ো মহৎ অনুষ্ঠানই হোক না কেন তার সমস্ত মত ও লক্ষ্য যে একেবারে দৃঢ়নির্দিষ্ট ভাবে নির্বিকার নিশ্চল হয়ে গেছে তাও সত্য হতেই পারে না। কোনো দিনই তা না হোক এই আকাজক্ষা করি । কিন্তু এই কনগ্রেসের পরম মূল্য যখন উপলব্ধি করি এবং এ কথাও যখন জানি এই কনগ্রেস একটি মহৎ ব্যক্তিস্বরূপের স্থষ্টি, তখন হঠাৎ একে সজোরে নাড়া দেবার উপক্রম দেখলে মন উৎকণ্ঠিত না হয়ে থাকতে পারে না। তখন এই কথাই মনে হয় এর পরিণতি ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া এর ভিতর

ግ፭