পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেড়ে দিতেই হবে, র্তার কর্মধারাকে বিক্ষিপ্ত করতে পারব না। সময় আসবে যখন ক্রমে অভাবক্রটির মোচন হবে এবং সেই অভাব মোচনে আমরা সকলেই আপন আপন ইচ্ছাকে আপন যোগ্যতা অনুসারে প্রবৃত্ত করতে পারব। সামনের যে ঘাট লক্ষ্য করে আজ কর্ণধার নৌকো চালিয়েছেন সেদিকে তাকে যেতে দেওয়া হোক। দূরদৃষ্টিহীন ভক্তদের মত বলব না তার উধের আর ঘাট নেই। আরো অাছে এবং তার জন্তে আরো মাঝির দরকার হবে। আমার মনে যে পরিকল্পনার উদয় হয়েছিল তার কথা পূর্বেই বলেছি। আমি জানি রাষ্ট্রব্যাপার সমাজের অন্তর্গত ; কোনো দেশেরই ইতিহাসে তার অন্যথা হয় নি। সামাজিক ভিত্তির কথাটা বাদ দিয়ে রাষ্ট্রক ইমারতের কল্পনায় মুগ্ধ হয়ে কোনো লাভ নেই। সমুদ্রের ওপারে দেখা যাচ্ছে নানা আকারের নানা আয়তনের জয়তোরণের চূড়া কিন্তু তাদের কোনোটারই ভিৎ গাড়া হয় নি বালির উপরে। যখন লুব্ধ মনে তাদের উপরতলার অনুকরণে প্ল্যান অঁাকব তখন দেশের সামাজিক চিত্তের মধ্যে নিহিত ভিত্তির রহস্যটা যেন বিচার করি। কিছু দিন হোলো একটি বিরল-বসতি পাহাড়ে এসে আশ্রয় নিয়েছি। অাছি সদ্য উন্মথিত রাষ্ট্রিক উত্তেজনা থেকে দূরে। অনেক দিন পরে ভারতবর্ষকে এবং আপনাকে শাস্ত মনে দেখবার অবকাশ পাওয়া গেল । দেখচি চিন্তা করে মানবজগতে দুই প্রবল শক্তি নিয়ে পলিটিকসের ব্যবহার। ఇbyte