পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহায্য করবে চারদিকের গাছপালা, ঋতুপর্যায়। একে কি বলবে আত্মকৈন্দ্রিক জীবন— ঠিক তা নয়, এর কেন্দ্র সেই বিরাটের মধ্যে, যা সমস্ত মলিনতা, জটিলতা, আবিলতার মধ্যে থেকে তাকে অতিক্রম করে বিরাজ করে— একে বলবে মিষ্টিক। যদি বলে এই হচ্চে এসকেপিজম্— প্রতিবাদ করব না— যে অঘাসুরকে আমি ঠেকাতে পারি নে এমন কি স্বয়ং চেস্বরলেনের ছাতাও পারে না, কী করব তার মার খেয়ে, ধিক্কার দিতে পারি— বিষবষী শতন্ত্রীর প্রচণ্ড গর্জনের কাছে সেটা শোনাবে অত্যন্ত হাস্যকর । কবির আলটিমেটম দেওয়া হয়ে গেছে— তার মেয়াদের শেষ তারিখ হয়তো বা তিনচার শতাব্দী পরে। আমার যা বলবার, তার শেষ কথা বলে নিয়েছি— পড়ে দেখো বলাকার ৯৩ পৃষ্ঠায়— ওরে ভাই কার নিন্দ করে তুমি, মাথা করো নত,— এ আমার, এ তোমার পাপ— বিধাতার বক্ষে এই তাপ বহুযুগ হতে জমি বায়ুকোণে আজিকে ঘনায়— ভীরুর ভীরুতাপুঞ্জ, প্রবলের উদ্ধত অন্যায়, লোভীর নিষ্ঠুর লোভ, বঞ্চিতের নিত্য চিত্ত ক্ষোভ, জাতি অভিমান, মানবের অধিষ্ঠাত্রী দেবতার বহু অসম্মান বিধাতার বক্ষ আজি বিদারিয়া ঝটিকার দীর্ঘশ্বাসে জলে স্থলে বেড়ায় ফিরিয়া। \o o e