পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে, মিল নেই পাকে বোজা ডোবার সঙ্গে । এরা কিন্তু ডোবাকেই আধুনিক বলে। যদি তাকে আধুনিক বলতে হয় তাহলে শ্রাবণ মাসের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে, বর্ষার জল কল কল করে বয়ে যাক, পাক গুলে নিয়ে, চিংড়িমাছের বাসাগুলোর বিপ্লব ঘটিয়ে, তীরে তীরে এটো বাসন মাজার ঝঙ্কার তুলে, উছলে পড়ে গোয়ালঘরের গোবরগাদা লেহন করে, পরস্পরের পিঠে মাথারাখা ঘোলাজলে নিমগ্ন মোষগুলোকে পঙ্কশয্যার আরাম দিয়ে। এ সমস্তর সঙ্গেই মিল করে ব্যাপ্ত হয়ে থাকবে, শ্রাবণের আকাশ, মেঘের ডাক, আর রিমঝিম বৃষ্টি। কিন্তু গায়ের জোরে বাহাদুরি করলে চলবে না। এই পেকোজলে কবির ছন্দ যেন উলঙ্গ শিশুর মতো অনায়াসে নৃত্য করে, বুড়োবয়সের স্পৰ্দ্ধিত নগ্নতা যদি “আমি আধুনিক” বলে চেঁচাতে চেঁচাতে পঙ্কসভায় নাচতে আসে তাহলে তাকে পুলিসে ধরিয়ে দেওয়া কর্তব্য হবে। ইতি বিজয় । ১৩৪৬ তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক “পরিস্থিতি” সম্বন্ধে কিছু বলবার আছে সময় পেলে পরে বলব । ס\ צס\