পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মরতে তবে চিকিৎসাবিধিতে বিশ্বাসের বদল হয়। সেই মরণের শিক্ষালয় খুলে গেছে সর্বত্র। এই মরণ শিক্ষালয়ে কোটি কোটি ছাত্রদের মারতে মারতে শিক্ষার শেষ পরিণামে মানুষ কবে ও কোথায় পৌছবে বলতে পারি নে। দেখতে পাই ক্লাস চলেইছে কিন্তু শিক্ষার শেষে গিয়ে ঠেকচে না । পুনরাবর্তনই হচ্ছে উত্তরোত্তর বেশি জোরে । এই অবস্থায় আমাকে যখন কেউ জিজ্ঞাসা করে কোন পথে চলব, কোনো উত্তর ভেবে না পেয়ে চুপ করে থাকি। আমরা যে সনাতন বড়ো রাস্তার ধারে জীর্ণ অাগল দেওয়া ঘরে বাস করি সেখানে শত শত শতাব্দী ধরে বাইরে থেকে এসেছে সৈনিক, এসেছে বণিক, পড়েছে আমাদের পিঠের উপরে, ঢুকেছে আমাদের ভাড়ারে, অবশেষে আমাদের মেরুদণ্ড পড়েছে বেঁকে, ভাড়ারে বাকি আছে খুদকুঁড়ে। অতএব সনাতন শিক্ষাবিধির সাহায্যে ঐতিহাসিক পরীক্ষায় আমরা যে পাস করেছি সম্মানের সঙ্গে, এ কথা বলবার মুখ নেই আমাদের। কেউ কেউ গর্ব করে বলেন আজও তো আমরা বেঁচে আছি । কিন্তু এমন বাচা আছে যা বিলম্বায়মান মৃত্যু। এই তো আমাদের দশা। এখন র্যারা হিংস্ৰ শক্তির প্রধান চেলা অথবা অধ্যাপক র্তাদের কাছে আমার বলবার কথা এই যে, অনেক কাল দেখলুম তাদের সিদ্ধিলাভের চেহারা, তার ভার অনেকটা আমরাই বহন করে এসেছি কিন্তু আজ কি তারা জয়লাভের সীমানায় এসে পৌছলেন ? পাস করলেন কি মনুষ্যত্বের পরীক্ষায় । মেতেছেন র্যার প্রতিযোগিতায় তারা W2X \o