পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকে তিনি তা জেনেছেন, এবং তার প্রবর্তন তার নিজের মনের মধ্যে এসে কাজ করেছে। এই প্রবর্তনায় যদি তাকে রচনার ক্ষেত্রে নিয়ে আসে তবে সে তাকে কেবল বাইরের আঙ্গিক গড়িয়ে ছাড়বে না, তার ভিতরের কথা এই রূপের মধ্যে নিজেকে প্রকাশ করবে। এইজন্তে আর্টের যে বিকাশ আমার অপরিচিত র্তার কবিতার মধ্যে শ্রদ্ধার সঙ্গে তার অনুসরণ করেছি। কিছুকাল আগে আমি যখন মংপু পাহাড়ে ছিলুম, অমিয়র “চেতন স্যাকরা” কবিতাটি হঠাৎ আমার চোখে পড়ল । আমার দৃষ্টিশক্তি এখন ক্ষীণ এবং শরীর ক্লান্ত এইজন্যে ধারাবাহিক বই পড়া আমার পক্ষে দুঃসাধ্য হয়েছে। তাই পথচলতি পথিকের খাপছাড়া দৃষ্টিতে আমার কাছে নূতন অভিজ্ঞতার বিষয় বিচিত্র স্বাদ এনে দেয় অকস্মাৎ । এ অবস্থায় টুকরো থেকে সমগ্রের পরিচয় আমাকে নিতে হয়— খুব যে ভুল করি তা বোধ হয় না। এই কবিতাটি পড়ে অমিয়কে যে চিঠি লিখেছিলুম সেটা এখানে উদ্ধৃত করলে আমার বক্তব্য বিষয় স্পষ্ট হবে। “তোমার এই লেখাটি আধুনিক কাব্যের একটি সেরা নিদর্শনরূপে দেখা দিয়েছে। কবিতা রচনায় যথেচ্ছ শৈথিল্যের ভঙ্গিতে যাকে সহজ দেখতে হয় সে আবর্জনা, কিন্তু যথার্থ যা সহজ তাই দুঃসাধ্য। তোমার এই লেখায় সেই দুরূহ সহজ আপন অনায়াসের প্রতীতি নিয়ে দেখা দিয়েছে। “পাহাড়ে আছি তাই একটা পার্বত্য তুলনা মাথায় \9@ 8