পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্পাদকের দরবারে, তার বাহন রাণী, অমনি কলমের মুখে কাঠালিচাপা হয়ে উঠতে লাগল এক একটা কাঠাল, অত্যন্ত সারবান, অত্যন্ত ভারবান— যাকে বলে প্রবন্ধ,— সে হাওয়ায় দোলেন, মাটির দিকে ঝুকে পড়ে। তার সঙ্গে সঙ্গে. সেই আলাপ আলোচনার সংস্কার সাধনে লাগতে হল— এই কাজটা বড়ো দুঃখের। এ যেন পুরোনো কাপড় রিফু করবার সরঞ্জাম নিয়ে নতুন কাপড় বুনে যাওয়ার মতো।. প্রতিলেখন পড়তে পড়তে দেখা গেল যে, মানুষ শুধু কান দিয়ে শোনে না কথা তার “কানের ভিতর দিয়া মরমে” পশেL তার কানে-শোনা কথাগুলো মরমের হাতে পড়ে যে মূৰ্ত্তি ধরে তাকে বক্তার নামে চালাবে না শ্রোতার নামে ? সেটা ব্যক্তিবিশেষের মরমের উপর নির্ভর করে। কারো কারো মরম অন্ত্যের কথা শোনবার সময় নিজের কথা থামিয়ে দিতে পারে না, অর্থাৎ একজন যখন এক সুরে বীণা বাজাচ্চে তখন আর একজন আর এক সুরে বাশি বাজিয়ে চলে— যেন ধনীর বাড়ির বিয়েতে শানাই আর গড়ের বাছি একই সময়ে আওয়াজ দিতে থাকে।. জীবনে যা বৃষ্টি আকারে বর্ষণ হয় তাকে শিলবৃষ্টি আকারে প্রকাশ করলে সেটা অসত্য হয়ে ওঠে এ কথা বোঝা উচিত। সব কথা প্রকাশ করবার নয় কেননা সব কথা প্রকাশ করবার উপযুক্ত ভূমিকা নেই— বৈঠকখানার বিশ্ৰব্ধ আলাপ চিৎপুর রোডের চৌমাথায় দাড়িয়ে মেগাফোনে ঘোষণা করলে তার সত্যতা থাকে না। তা ছাড়া এই যে প্রকাশ করবার নেশা এটা সকল অবস্থায় শোভন নয়— হৃদয়হীন পাব্লিকের 4 (t\O