পাতা:চিঠিপত্র (একাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুনীতিকে পৌরোহিত্যের সম্মানের জন্তে কী দিতে হবে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সুনীতি বলেছিলেন, এই কাজের জন্যে অর্থগ্রহণ র্তার ব্রাহ্মণবংশের রীতিবিরুদ্ধ। রাজা তাকে কৰ্ম্ম-অন্তে বালির তৈরি মহার্ঘ্য বস্ত্র ও আসন দান করেছিলেন । এখানে একটা নিয়ম আছে যে, গৃহস্থের ঘরে এমন কারো যদি মৃত্যু হয় যার জ্যেষ্ঠরা বৰ্ত্তমান তা হলে সেই গুরুজনদের মৃত্যু না হলে এর আর সৎকার হবার জো নেই। এইজন্যে বড়োদের মৃত্যু হওয়া পৰ্য্যন্ত মৃতদেহকে রেখে দিতে হয়। তাই অনেকগুলি দেহের দাহক্রিয়া এখানে একসঙ্গে ঘটে। মৃতকে বহুকাল অপেক্ষা করে থাকতে হয় । সৎকারের দীর্ঘকাল অপেক্ষার আরো একটা কারণ, সৎকারের উপকরণ ও ব্যয়বাহুল্য। তার জন্যে প্রস্তুত হতে দেরি হয়ে যায়। তাই শুনেচি, এখানে কয়েক বৎসর অন্তর বিশেষ বৎসর আসে তখন অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। শবাধার বহন করে নিয়ে যাবার জন্তে রথের মতো যে একটা মস্ত উচু যান তৈরি হয়, অনেকসংখ্যক বাহকে মিলে সেটাকে চিতার কাছে নিয়ে যায়। এই বাহনকে বলে ওয়াদা। আমাদের দেশে ময়ূরপংখী যেমন ময়ূরের মূৰ্ত্তি দিয়ে সজ্জিত, তেমনি এদের এই ওয়াদার গায়ে প্রকাণ্ড বড়ো একটি গরুড়ের মুখ ; তার দুই ধারে বিস্তীর্ণ মস্ত দুই পাখী, সুন্দর করে তৈরি। শিল্পনৈপুণ্যে বিস্মিত হতে হয়। শ্রাদ্ধের এই নানাবিধ উপকরণের আয়োজন মনের ভিতরে সবটা গ্রহণ করা বড়ে কঠিন। যেটা সবচেয়ে দৃষ্টি ও মনকে আকর্ষণ (t'సె