পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্থ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর তোকে দীর্ঘকাল চিঠি লিখিনি কেন, এই সম্বন্ধে তুই মনে মনে আলোচনা করটিস্। আমি নিশ্চয় জানি বেীমা তোকে প্রতি সপ্তাহেই প্রায় চিঠি লিখটেন এবং তাতে ছোট বড় কোনো খবর বাদ যাচ্চে না— আমার চিঠিতে তারই পুনরুক্তি হবার সম্ভাবনা আছে। পৃথিবীতে মেয়ে এবং পুরুষের মধ্যে যে কৰ্ম্মের বিভাগ হয়েছে তার মধ্যে এটাও একটা— পুরুষরা দেশের কাজ করবে, মেয়ের ঘরের কাজ করবে ; পুরুষরা বই লিপূবে, মেয়ের চিঠি লিখবে। চিঠি লেখার নৈপূণ্য মেয়েদেব পক্ষে স্বভারসিদ্ধ— পুরুষদের ওটা নেই বল্লেই হয়। আমরা কাজের চিঠি লিখতে পারি— অকাজের চিঠিতে আমাদের কলম সরে এই ত চিঠি লেখা সম্বন্ধে তোকে বৈজ্ঞানিক ৩৫ ব্যাখ্যা করে লিখলুম ; ভাগ্যে এটা বৈজ্ঞানিক তাই এতখানি লেখবার সুবিধা হল । আমি তত্ত্ববোধিনী এবং প্রবাসীর একজন সুবিখ্যাত লেখক তা বোধ হয় তুই পরম্পরায় শুনেছিস্ ;– এখানকার লোক সমাজের লৌকিকতার দাবি মিটিয়ে যখনি সময় পাই প্রবন্ধ রচনায় মনোযোগ দিতে হয় ; কিন্তু বোমা এখনো সাময়িক পত্রের হাতে পড়েননি এই জন্য অসাময়িক পত্র লেখা