পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনে, সুতরাং সাহিত্যেও, হয়তো কোনো একটা বিশেষ বুধ বা বৃহস্পতিবার সপ্তাহ ডিঙিয়ে চব্বিশঘণ্টাকে উপেক্ষা করেই আসন রক্ষা করে। যেদিন বর্ষার অপরাহুে খরস্রোত পদ্মার উপর দিয়ে কাচা ধানে ডিঙি নৌকো বোঝাই করে মগ্নপ্রায় চর থেকে চাষীরা এপারে চলে আসচে সেদিনটা সন তারিখ মাস পার হয়ে আজো আমার মনে আছে । সেই দিনেই সোনার তরী কাব্যের সঞ্চার হয়েছিল মনে, তার প্রকাশ হয়েছিল কবে তা আমার মনেও নেই। এইরকম অবস্থায় ইতিহাসের ভুল হবারই কথা । কারণ আমার মনে সোনার তরীর যে ইতিহাসটা সত্য হয়ে আছে সেটা হচ্চে সেই শ্রাবণ দিনের ইতিহাস, সেটা কোন তারিখে লিখিত হয়েছিল সেইটেই আকস্মিক,— সেদিনটা বিশেষ দিন নয়, সেদিনটা আমার স্মৃতিপটে কোনো চিহ্ন দিয়েই যায়নি। অতএব আমার ইতিহাসে আর তোমাদের ইতিহাসে এইখানে বাদ প্রতিবাদ হবেই, তুর্ভাগ্যক্রমে তোমাদের হাতে দলিল আছে আমাদের হাতে নেই । আদালতে তোমাদেরই জিৎ রইল । আমার দলিলের তারিখ কবিতার অভ্যন্তরেই আছে । শ্রাবণ গগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে । তুমি বলবে, ওটা কাল্পনিক, আমি বলব তোমাদের তারিখটা রিয়ালিস্টিক। এমনতরো কথা কাটাকাটি করলে কথার অবসান হবে না । বৈশাখের অনুচরীর যে ছায়ামৃত্য দেখি সেটা অদৃশ্য নয়তো কি— নৃত্যের ভঙ্গী দেখি, ভাব দেখি, কিন্তু নটী কোথায় ? কেবল একটা আভাস মাঠের উপর দিয়ে ঘুরে যায়। তুমি > a >