পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবিত হয়েচে, বিস্মৃত হয়েচে, প্রেতশরীরীর মতো তারা ঘুরে বেড়ায় মনের কোণে কোণে, তাদের সূক্ষ্ম সত্তা নিয়ে । এই সূক্ষ্মতাবশতই বিবিধ রূপ দিয়ে তাদের আবদ্ধ করা সহজ। প্রদীপ শিখার সঙ্গে ভোরবেলাকার তারার স্বাভাবিক সখিত্ব। উভয়েরই জীবনের চরম কথাটি সেই সময়ে আসন্ন আলোকে বিলীন হবে, অন্তিম মুহূর্তের জানাশোনা হবে দুজনের। সেই যে তাদের বাণী মরণ দূতের জন্যে অপেক্ষা করচে– উতল হাওয়ার কানে কানে সেই কথাটি দেবার ইচ্ছা আছে শ্ৰীমতী দীপশিখার। অসম্পূর্ণ আকাঙ্ক্ষার অকথিত বাণীর বেদনাগান এ'কে বলা যায় । এ গান কত ঘরে কত কুষ্ঠিত হৃদয়ে বসন্ত নিশীথে গুঞ্জরিত হয়ে উঠচে– কবি তাকেই সুর দিয়েচে। যার প্রয়োজন সে একে গ্রহণ করতে পারে, যার প্রয়োজন নেই সেও হয়তো দেখবে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস তারো মনের কোথায় অবরুদ্ধ হয়ে আছে । ইতি ১১ই অগ্রহায়ণ রবিবার । তোমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর So (t ২৩ জানুয়ারি ృష్టిరిరి কল্যাণীয়েষ্ণু তুমি যে প্রশ্নগুলি করেচ, সে তোমার নিজের নয়, সে পরের, সেই জন্যে তার জবাব দিতে ইচ্ছে করে না । প্রশ্ন > a○