পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাবে রয়েছে এবৃস্ট্যাক্ট, স্বর্গে তাই পেয়েছে রূপ। যেমন যেকল্যাণের পূর্ণ আদর্শ সংসারে প্রত্যহ দেখতে পাইনে অথচ যা আছে আমাদের ভাবে, সত্যযুগে মানুষের মধ্যে তাই ছিল বাস্তবরূপে এই কথা মনে করে তৃপ্তি পাই— তেমনই এই কথা মনে করে আমাদের তৃপ্তি যে, নারীরূপের যে অনিন্দনীয় পূর্ণতা আমাদের মন খোজে তা অবাস্তব নয়, স্বর্গে তার প্রকাশ উৰ্ব্বশী মেনকা তিলোত্তমায় । সেই বিগ্রহিণী নারী মূৰ্ত্তির বিস্ময় ও আনন্দ উৰ্ব্বশী কবিতায় বলা হয়েছে। অন্তত পৌরাণিক কল্পনায় এই উৰ্ব্বশী একদিন সত্য ছিল যেমন সত্য তুমি অামি । তখন মৰ্ত্ত্যলোকেও তার আনাগোনা ঘটুত, মানুষের সঙ্গেও তার সম্বন্ধ ছিল— সে সম্বন্ধ এবৃস্ট্র্যাক্ট নয় বাস্তব । যথা পুরুরবার সঙ্গে তার সম্বন্ধ । কিন্তু কোথায় গেল সেদিনকার সেই উৰ্ব্বশী । আজ তার ভাঙাচোরা পরিচয় ছড়িয়ে আছে অনেক মোহিনীর মধ্যে— কিন্তু সেই পুর্ণতার প্রতিমা কোথায় গেল ! ফিরিবে না, ফিরিবে না, অস্ত গেছে সে গৌরবশশি ।— একটা কথা মনে রেখো । —উৰ্ব্বশীকে অবলম্বন করে যেসৌন্দর্য্যের কল্পনা কাব্যে প্রকাশ পেয়েছে লক্ষ্মীকে অবলম্বন করলে সে অাদর্শ অন্যরকম হোতো— হয় তোতাতে শ্রেয়স্তত্ত্বের উচু সুর লাগত। কিন্তু রসিক লোকে কাব্যের বিচার এমন করে করে না । উৰ্ব্বশী উৰ্ব্বশীই, তাকে যদি নীতি উপদেশের খাতিরে লক্ষ্মী করে গড়তুম তাহলে ধিক্কারের যোগ্য হতুম। সেকালে উৰ্ব্বশী অনেক মাতুষকে কৰ্ত্তব্য থেকে ভ্ৰষ্ট > \b