পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

খারাপ করে দিয়েছে, স্বাদকেও করেছে কৃত্রিম ; বেশি আদর দিয়েছে রসনাকে । ভয় হচ্চে কথাটার মধ্যে হয় তো কিছু সত্য আছে । জীবকে প্রকৃতি প্রশ্রয় দেবার পক্ষপাতী নয়;— তৎসত্ত্বেও সন্তানবৎসল মায়ের মতো মাতুষকে প্রকৃতি তুর্বলতাবশত আদুরে করেছে বেশি, হয় তো শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবার পক্ষে তার ফল ভালো নয়। সদ্যস্ক ভাবী কালের দিক থেকে এই রকমের নির্মম কথাই কানে ভেসে আসচে। অবশ্য চিরন্তন ভাবীকালের কী রায় তা নিশ্চিত জানি নে, মামলায় হাইকোর্টে জিৎ নিয়ে কিছুকাল হাকডাক করে শেষকালে প্রিভিকেীন্সিলের বিচারে জিভের ধন ফেরৎ দিতে হয় এমনো দেখা গেছে। যেমন ধৰ্ম্মস্ত সূক্ষ্মা গতিঃ তেমনি রুচির আইনেরও। অতএব খ্যাতিটাকে নিয়ে উৎফুল্ল কিম্বা অবসাদগ্ৰস্ত হবার জরুরী দরকার নেই, ওটাকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করাই ভালো । আমি সে চেষ্টা করে থাকি কিন্তু সিদ্ধপুরুষ হয়েছি জেনে শিবনেত্র হয়ে বসবার সময় এখনো আসেনি। যদি আসে তাহলে পৃথিবীতে খাটি ও মেকি মজুরীর শেষ ময়লা ঝুলিখানা ফেলে দিয়ে হালকা হয়ে পারের খেয়ায় চড়তে পারব। ভাগ্যের কাছে এই শেষ আশীৰ্বাদটাই চাই । সে সব চরম কথা থাক । তুমি আমার প্রত্যেক কবিতাটি নিয়ে ব্যাখ্যা করে চলেছ, তাতে আমি গৌরব বোধ করি কিন্তু একটু কথা এই মনে হয় কাব্যরস আস্বাদনে পাঠকদের অত্যন্ত বেশি যত্বে পথ দেখিয়ে চলা স্বাস্থ্যকর নয় । নিজে নিজে সন্ধান করা ও আবিষ্কার করায় সত্যকার আনন্দ । তা ছাড়া কাব্যের কেবল X 8 X