পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখাইয়া চলিতে হইবে না— তোমার তীর্থরেণু পুষ্পরেণু হইয়া উঠিয়া নূতন গন্ধে বাতাসকে আমোদিত করিয়া তুলিয়াছে। শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (? ১৫ জানুয়ারি ১৯১৩ কল্যাণীয়েযু সত্যেন্দ্র, তুমি ঠিক বলেছ। আমাদের দেশের রসের কারবার বড় ছোট । নিতান্ত মুদির দোকানের ব্যাপার । ছোট ছোট শালপাতার ঠোঙার বন্দোবস্ত । সমালোচনার ভঙ্গী দেখলেই সেটা বোঝা যায়— নিতান্ত গেয়ে রকমের । সমালোচকেরা সাহিত্য-কারবারীদের মুচ্ছদি— তাদের নিজের পুজি-পাটা থাকা চাই, এবং জগতের বাজার যাচাই করবার মতো অভিজ্ঞতা ও শক্তি না থাকলে তাদের চলে না । আমাদের মূলধন কেবল, আমার কি ভালো লাগে এবং না লাগে সেইটুকু। সেটুকুর মূল্য কেবলমাত্র আমার ঘরে পাচ-দশ জনের কাছে, কিন্তু বড়বাজারে সে টাকা একেবারেই চলে না— এই দৈন্যটি বোঝবার পর্য্যন্ত শক্তি আমাদের নেই । তাই ত অামি অনেকদিন থেকে তোমাকে বলচি, মাঝে মাঝে সমালোচনার ক্ষেত্রে নাবো না কেন ?— কাব্যকে সাহিত্যকে একটা বিশ্বভূমিকার উপর দাড় করিয়ে দেখাও না X (t (t