পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তখনো রবিবাবুর পরবর্তী কবিদের অত্যুদয় হয় নি। আমি কাশীর সাহিত্য পরিষদের সেক্রেটারী মহাশয়কে লিখলাম যে “আমা হতে এই কার্য হবে না সাধন। তবে আমি হয় রবিবাবুকে দিয়ে অথবা সরলা দেবীকে দিয়ে আপনাদের একটি গান লিখিয়ে দেবো।” সেক্রেটারী মহাশয় অপ্রত্যাশিত ও আশাতীত লাভের সম্ভাবনায় উৎফুল্ল হ’য়ে আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে পত্র লিখলেন। আমিও দুই জনের কাছে গান রচনা ক’রে দেবার অনুরোধ করে পাঠালাম। রবিবাবু ছিলেন তখন শিলাইদহে। তিনি আমাকে পত্র লিখলেন যে তিনি শীঘ্ৰ কলকাতায় আসছেন, এবং কোনো নির্দিষ্ট তারিখে জোড়াশাকোর বাড়ীতে যদি অামি যাই তা হ’লে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হ’তে পারবে । আমি নির্দিষ্ট দিনে বিকাল বেলা জোড়াশাকোর বাড়ীতে গিয়ে দ্বারোয়ানকে দিয়ে আমার নামের কার্ড রবিবাবুর কাছে পাঠিয়ে দিলাম। তিনি তখনই নীচে নেমে এলেন । তার পরনে একটা ঢিলা পাজামা, ঢ়িলা পাঞ্জাবী গায়ে আর পাঞ্জাবীর জামার গলার বোতামটি খোলা । পরে লক্ষ্য করেছি তিনি কখনই জামার গলার বোতাম দেন না। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন– “আপনি আমাকে কি ফরমাস করেছিলেন ন?” আমি বললাম— “সরস্বতীবন্দন সম্বন্ধে একটা গান লিখে দিতে বলেছিলাম।” আমার কথা শুনেই তিনি বলে উঠলেন– “ওরে বাস রে! গান লেখবার সাধ্য কি আমার আছে আর গান-টান আৰু श्रौभद्र खरों८म ब1 । - চলে গেছে মোর বীণাপাণি । ( চৈতালি ) আমার একটা পুরাণে গান আছে— মধুর মধুর ধ্বনি বাজে হৃদয় কমল বন মাঝে ! সেই গানটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নেবেন ।” আমি ব্যর্থমনোরথ হ’য়ে ফিরে এলাম। কবির বীণাপাণি কবিকে ૨ ૭ ૭