করছে। কিন্তু আমাদের দেশের বুনো ফুলের তো কোনো নাম নেই। অভিধানে পণ্ডিত মশায়রা পুষ্পবিং বলেই খালাস। তাদের পরিচয় জানবার জন্য কারো মনে যদি এতটুকু আগ্রহ থাকৃত, তাহলে যুরোপীয় ফুলের মতন তাদেরও নাম গোত্র সব নির্ণয় হ’য়ে যেত।” আমি বললাম—আপনি ওদের নামকরণ করে ওদের জাতকর্ম করে দিন, ওরা ঐ নামেই চিরকাল পরিচিত হবে। কবি কবিতা লিখলেন, কিন্তু প্রচলিত ফুলের বেনামীতে — ওরে তোদের ত্বর সহে না অার । এখনো শীত হয়নি অবসান । পথের ধারে অtভাস পেয়ে কণর সবাই মিলে গেয়ে উঠিস্ গান। ওরে পাগল চাপ, ওরে উন্মত্ত বকুল, কার তরে সব ছুটে এলি কৌতুকে আকুল। আমার স্মৃতি থেকে লেখার সময়ের পোর্বাপর্ষ সব ঘটনায় রক্ষা ক’রে বলতে পারছি না। একটু আধটু উন্ট পাণ্ট হ’য়ে যাচ্ছে। পাজিপুথি মিলিয়ে দেখে শুনে লিখলে হয় তো কতকটা পোর্বাপর্য রক্ষা হ’তে পাবৃত। কিন্তু আমি তো ইতিহাস লিখছি না, আমি লিখছি আমার মনে রবীন্দ্রনাথের ছবি। তাই ঘটনার ওলোট পালোটে বিশেষ ক্ষতি হবে না । একবার এক উৎসব উপলক্ষে আমরা অনেকে শান্তিনিকেতনে গেছি। কবি আমার সঙ্গী বন্ধুদের বললেন—“দেখো, তোমরা যেখানে থাকবে সেখানে চারুকে অণর সত্যেন্দ্রকে নিয়ে যেয়ো না । তোমরা সমস্ত রাত গোলমাল করবে, ঘুমুবে না। চারু বড় ঘুমকাতুরে আর সত্যেন্দ্রের শরীর ভালো নয়। তোমরা ওদের আমাকে দিয়ে যাও। আমি ওদের খাইয়ে দাইয়ে শুইয়ে রাখবো।” বন্ধুরা আমাদের আশা ত্যাগ করে তাদের বাসায় চলে গেলেন। আমরা কবির সঙ্গে আহার ও আলাপ ক’রে শয়ন করলাম কবিরই শয়ন ૨૨ છે
পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।