পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কক্ষের পাশের ঘরে, তারই বিছানায় তারই মশারি খাটিয়ে। অল্প দুএকটা কথা বলার পর সত্যেন্ত্র ও আমি নীরব হ’য়ে গেলাম। খানিক পরে সত্যেন্দ্র মৃদুস্বরে আমাকে ডাক্লেন—“চারু, ঘুমিয়েছ ?” আমি বললাম—ম । সত্যেন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন—“কি ভাবছ ?” আমি পাণ্টে প্রশ্ন করলাম—তুমি কি ভাবছ ? সত্যেন্দ্র বললেন—“আমি ভাবছি যে আমাদের কী সৌভাগ্য। আমার আনন্দে ঘুম আসছে না।” একবার ১৩২২ সালে বা ১৩২১ সালের শেষে ‘প্রবাসী’র জন্য একখানি উপন্যাস আবশ্বক হয়। রবিবাবুকে অনুরোধ করবার জন্য আমি আর সত্যেন্দ্র তার কাছে গেলাম। রবিবাবুকে আমাদের আবেদন জানালে তিনি আমাকে বললেন—“তুমি নিজে লেখ না।” অামি বললাম “আমার প্লট মনে আসে না। প্লট পেলে লিখতে চেষ্টা করে দেখতে পারি।” কবিগুরু বললেন—“তোমরা সব বড় পরে জন্মেছ। বছর কুড়ি আগে যদি জন্মাতে তাহলে তোমাদের আমি দেদার প্লট দিতে পারতাম। তখন আমার মনে হতো আমি দুহাতে প্লট বিলিয়ে হরির লুট দিতে পারি। একটা প্লট আমি নিজে লিখুব ব’লে ভেবে রেখেছিলাম, সেইটেই তোমাকে দিই। ধরে একটি শিক্ষিত মেয়ে এক অশিক্ষিত পরিবারের মধ্যে গিয়ে পড়ল। তার আদর্শের সঙ্গে ওদের কি রকম বিরোধ বেধে যাবে তাই দেখাও... ঐ প্লটটি আমার ‘ম্রোতের ফুল’ নামক উপন্যাসের ভিত্তি । এর পরেও আমি তার কাছ থেকে প্লট পেয়েছি। একদিন সন্ধ্যাবেল সুরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আর আমি কবির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবার জন্য র্তার জোড়াশাকোর বাড়ীতে গিয়েছিলাম। কবি আমাকে জিজ্ঞাসা কবুলেন —“চারু, কি লিথ ছ ?” ૨૨ ૨