পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পীযুষ-ব্যথা বক্ষে নিয়ে হ’ল ষে উন্মন ধাত্রী তোমার হ’তে হৃদয়-রসের সকল ধারা তোমায় ঘিরে বইল উছল স্রোতে ; পান ক’রে তায়, স্নান ক’রে তায় দান ক’রে তায় দু’ হাত ভ'রে ভীরে তৃষাৰ্ত্ত প্রাণ সুধার ধারায় দিলে সরস ক’রে । সরস্বতীর হরষ-বীণায় স্পন্দ-রূপে লুকিয়ে ছিলে তুমি কোন উষসী জাগিয়ে দিল চুমি’— তোমায় ওগো মঞ্জু-গায়ন কবি ! ভালে কি তার এমনিধারা চাপার দিনের চাপার বরণ রবি মূৰ্ত্তি ধ’রে সপ্তম রাগ উদয় হ’লে রাগ-রাগিণীর মেলায় ! বাণীতে বশ করলে বিশ্ব হেলায় ! তোমার গানের পেতে সুধার কণা এল বনের হরিণ ধেয়ে, সাপ নোয়াল ফণী । 肇 দূর-গমনে নিকট করে তোমার গানের আলো, ভালোবেসে যে দীপ তুমি জালো-- অচেনারে চিনিয়ে সে দ্যায়, পরকে অাপন করে, তোমার হিয়ার চিন্তা-মণি-ঘরে বিশ্ব-মানব জলসা করে, ওঠে বিপুল হর্ষ-ব্যাকুল গীতি দুখের মূল্যে আনন্দ-ক্রয় চলছে সেথা নিতি ; ছন্দে নাচে জন্ম-মরণ, পতন-অভু্যদয়, মিলিয়ে হাতে হাত, ছন্দ-ছাড়া নয় সেথা কেউ নয় । মন্ত্রে পুত রাধীর স্থতায় সেথা সবাই মিলছে সবার সাথ । रै 8७