পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রনাথ এই চিঠিতে বইয়ের ছাপা কাগজ ও বাধাই ভালো বলেছেন, নির্বাচন কেমন বলেন নি, তাতে মনে হয় কবিতা নির্বাচনে র্তারও হয়তে হাত ছিল, অন্তত তার পূর্ণ দায়িত্ব চারুচন্দ্রের छ्लि बां । ‘চয়নিকা’র প্রারম্ভে পাচ স্তবকের একটি ‘প্রকাশকের নিবেদন’ ছাপা হয়েছিল । ‘ছবি ভালো হয় নি...’ কথার তাৎপর্য ছবির ছাপা ভালো হয় নি। মূল ছবির সঙ্গে তুলনাক্রমে হয়তো তার মনে হয়েছে। ‘চয়নিকা’র জন্য চারুচঞ্জের লেখা ‘প্রকাশকের নিবেদন’ অংশটি এখানে সংকলন করে দেওয়া যায় : প্রকাশকের নিবেদন দুই শ্রেণীর পাঠকের জন্য কবির কাব্য হইতে চয়ন করিয়া দিবার প্রয়োজন হয়। এক, র্যাহার কবির রচনা পড়েন নাই, তাহাদিগকে কতকগুলি ভাল নমুনা দেখাইয়া কবির কাব্যের সহিত পরিচয়েয় ভূমিকা সাধন করিয়া দেওয়া। আর এক, র্যাহার কবির রচনা ভালবাসেন তাহদের সর্বদা উপভোগের জন্য এক জায়গায় কতকগুলি ভাল জিনিষ সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়া । শেষোক্ত শ্রেণীর পাঠকদের সকলকেই সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট করিতে পারেন এমন চয়মকর্তা কোথাও মিলিবে না । আমরাও এ অসাধ্যসাধনে কৃতকাৰ্য্য হইব এমন আশা করি না। আমরা এমন অনেক কবিতাকে এ গ্রন্থে নিশ্চয় স্থান দিয়াছি যাহা কবির কোনো না কোনো ভক্তের নিকট মাঝারি বা তাহার চেয়ে নীচের দরের জিনিষ বলিয়া গণ্য হইতে পারে— এবং এমন অনেক কবিতা ছাড়িয়াছি যাহা তাহদের কাছে বিশেষ অাদরের। ইহাতে এই প্রমাণ হয় কবি বিচিত্র লোককে বিচিত্র ভাবে অাকর্ষণ করিয়া থাকেন— তিনি অনেকের কাছে অনেক রকমে পরিচিত । সে হিসাবে প্রত্যেক পাঠক নিজেই নিজের বিশেষ ○8°