পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরদিনের কলম আজ পরের ঘাড়েই চাপাতে হচ্ছে . . . ১৩ মে ১৯৪১ । নিজের দৃষ্টান্ত বলে স্মরণ করবার আগে থেকেই মহাভারতোক্ত গাণ্ডীবধারী অর্জনের কাহিনীর উপরে রবীন্দ্রনাথের বিশেষ সংসক্তি ছিল লক্ষ্য করা যায়। অর্জনের বীরত্বগৌরবের পরিপূর্ণ দিনের একখানি নাটক লিখেছিলেন যখন অৰ্জুন, গাওঁ বধনু, ভুবনবিজয়ী। / সমস্ত জগৎ হতে অক্ষয় সে নামখানি লুণ্ঠন করে কুমারহাদয় পরিপূর্ণ করে রেখেছিলেন মণিপুররাজকন্যা। অর্জনের নিয়তিকৃত অশক্যতার দিনের আরেকখানি নাটক লেখবার পরিকল্পনাও ছিল। প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবিশ জানিয়েছেন : লেখা হয় নি এমন একটা নাটকের কথা বলি। কবির কাছে শুনেছি, যে সময় কচ ও দেবযানী’, ‘গান্ধারীর আবেদন', চিত্রাঙ্গদা, কর্ণকুন্তী-সংবাদ প্রভৃতি মহাভারতের গল্প নিয়ে লিখছেন তখন আরেকটা গল্পের কথাও মাথায় এসেছিল। যদুবংশের মেয়েদের দসু্যরা হরণ করে নিয়ে গেল, অর্জনও তাদের রক্ষা করতে পারলেন না। প্রথমে ভেবেছিলেন চৌদ্দ অক্ষরের পদ্যে লিখবেন, কিন্তু সেই সময় অনেকগুলি লেখা ঐভাবে হওয়ায় এটাতে আর হাত দেন নি। অনেক দিন পরে ‘রাজা’ আর "অচলায়তন’ যখন লেখা হয়, তখন ভেবেছিলেন এই নিয়ে একটা গদ্য নাটক লিখবেন। সেই সময় আমাকে বললেন কী ভাবে লেখবার ইচ্ছা। কৃষ্ণ, পাণ্ডবেরা পাঁচ ভাই আর যদুবংশের সব বীরেরা বড়ো বড়ো কথা আর বড়ো বড়ো আদর্শ ঘরকন্নার কাজ নিয়ে। কিন্তু তাতে তারা সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। ওদিকে অনার্য দসু্যরা হল পৃথিবীর মানুষ, তারা এসে মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে, গান শোনায়। মেয়েদের মন তাদের দিকেই আকৃষ্ট হল। মেয়েরাই তখন লুকিয়ে পাণ্ডবদের অস্ত্রশস্ত্র সমস্ত নষ্ট করল— যাতে দস্যরা তাদের সহজে হরণ করে নিয়ে যেতে পারে। দস্যদের ঠেকাতে গিয়ে অর্জন দেখেন তার ১ 'চিত্রাঙ্গদা (১২৯৯) 8 と と