পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এগুরুজ এই সময় পূর্ব আফ্রিকায় । পরে গোরা' অনুবাদ করেন উইলিয়াম উইনস্ট্যানলি পিয়ারসন। পত্র ৮১ ৷ “কথিকা”। ৪ ভাদ্র ১৩৩৬এর চিঠিতে প্রমথ চৌধুরাকে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ছোট ছোট গল্পকে “কথানু না বলে “কথিকা” বলা যেতে পারে। “গল্পস্বল্প” বললে ক্ষতি কি? অতঃপর ২২ ফাল্গুন সে নিতান্তই গল্পস্বল্প ..." | পুনশ্চে’র ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ইংরেজি গদ্যে অনুদিত ‘গীতাঞ্জলি’র গানগুলি কাব্যশ্রেণীতে গণ্য হওয়ার পরেই তার মনে প্রশ্ন হয়েছিল ‘পদ্যছন্দের সুস্পষ্ট ঝংকার না রেখে ইংরেজিরই মতো বাংলা গদ্যে কবিতার রস দেওয়া যায় কি না।" রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, "মনে আছে সত্যেন্দ্রনাথকে অনুরোধ করেছিলেম, তিনি স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু, চেষ্টা করেন নি। তখন আমি নিজেই পরীক্ষা করেছি, “লিপিকা’র অল্প কয়েকটি লেখায় সেগুলি আছে । রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “ভীরতাবশত “লিপিকা’ লেখার কাব্যগুলিকে পদ্যের মতো খণ্ডিত করা হয় নি। কিন্তু এই কথিকা’তেই তার গদ্যকবিতা রচনার সূত্রপাত। মাঘ ১৩২৪ থেকে মাঘ ১৩২৬এর পূর্ব পর্যন্ত এইরকম বাইশটি লেখা পাওয়া যায়। দ্র গ্রন্থপরিচয় লিপিকা’ ১৩৮৫ সং পূ ১৮৯০ ১৯০। বিজয়চন্দ্র মজুমদার বঙ্গবাণী পত্রিকার সম্পাদক। বঙ্গবাণীতে লিপিকা’র একটিমাত্র কথিকা "পরির পরিচয় প্রকাশিত হয় : বঙ্গবাণী, বৈশাখ ১৩২৯ । প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ লিখেছেন, জালিনওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর নাইট পদবী প্রত্যাহার করবার পর বিচলিতচিত্তকে প্রশমিত করে ‘কথিকা’ পর্যায়ের লেখার শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ, দ্র, লিপিকার সূচনা’, ‘প্রসঙ্গ রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে সংকলিত ১৯৮৫ পূ ১৬৪-১৬৬। ( > ○