পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রার্থনা করেছিলেন । ২৯ পৌষ ১৩৩৯-এর পত্রে রবীন্দ্রনাথকে কয়েকটি কবিতার অর্থ জানতে চেয়ে তারপর লেখেন, “বই লিখতে আরম্ভ করে দিয়েছি। বিজয়াদশমী ১৩৪০এর পত্রে ব্রত উদযাপন করার কথা লিখে জানান, রবি-রশ্মি” বিশ্লেষণ প্রায়ে শেষ করে এনেছি। মনে হয় অব্যবহতিকালের মধ্যেই বইখানি প্রেসে গিয়েছিল। ১১ মাঘ ১৩৪৪ (২৫ জানুয়ারি ১৯৩৮)এ রবি-রশ্মি’র উৎসর্গপত্রের জন্য রবীন্দ্রনাথের অনুমোদন প্রার্থনা করে চারুচন্দ্র চিঠি লেখেন। ফেব্রুয়ারি ১৯৩৮-এ রবিরশ্মি’-র প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয়। ভূমিকায় চারুচন্দ্র উল্লেখ করেছিলেন, সকলের চেষ্টা ও সাহায্য সত্ত্বেও পাঁচ বৎসর মাত্র অর্ধেক বই ছাপা হইল । বাকী অর্ধেক আমার জীবদ্দশায় হইবে কি না বিধাতাই জানেন। অপর ভাগ প্রকাশিত হবার আগেই লেখকের মৃত্যু হয়। ‘রবি-রশ্মি' লিখতে ব্যয় হয়েছে বর্ষ কাল যদিও প্রস্তুতি অনেকদিনের। চারুচন্দ্র লিখেছেন, ‘এই পুস্তকের উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছি বারো বৎসরের নিরস্তর চেষ্টায়।’ আমি বারো বৎসর রবীন্দ্র-সাহিত্যের অধ্যাপনা করিতে করিতে যখন যেখানে আমার মনের অনুকূল যে-সকল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাইয়াছিলাম তাহা আমার অধ্যাপনার টিপ্পনীর অঙ্গীভূত করিয়া লইয়াছিলাম, তাহাতে সকল সময়ে লেখকের পরিচয় সংগ্রহ করিয়া রাখা হয় নাই। আমার ছাত্র-ছাত্রীদের রচনা হইতেও আমি বহু উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়াছি, তাহাদের রচনা হইতে কিছু কিছু গ্রহণ করিয়া আমার লেখার পরিশ্রম লাঘব করিয়াছি। ইহার জন্য আমি তাহদের নিকটেও ঋণী ও কৃতজ্ঞ। রবীন্দ্র-সাহিত্যের প্রকৃষ্ট ও ব্যাপক অধ্যাপনা ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম আরম্ভ হয়। এই অধ্যাপনায় যাহারা ব্ৰতী ছিলেন বা আছেন সেই-সকল সহকৰ্ম্মীদের নিকটেও আমার অনেক ঋণ আছে, তাহাদের সহিত আলোচনাতেও অনেক জটিলতার মীমাংসা হইয়াছে। সৰ্ব্বোপরি আমার অপরিশোধ্য ঋণ স্বয়ং কবিগুরুর কাছে। যখন (? 8 & ১ ৪ ৩৫ ব: