পাতা:চিঠিপত্র (চতুর্দশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গীত ই তার প্রথম নিষ্ক্রমণ, প্রথম শস্যোগম কড়ি ও কোমলে’। অতঃপর বিভিন্ন কাব্যসংগ্রহের ভূমিকায় তিনি স্পষ্টভাবেই আদিরচনার সম্বন্ধে তার অপছন্দ প্রকাশ করেছেন। ইন্ডিয়ান প্রেসের কাব্যগ্রন্থাবলী’র ভূমিকা ( ১৩২১) । সন্ধ্যাসঙ্গীতের পূর্ববর্তী আমার সমস্ত কবিতা আমার কাব্যগ্রন্থাবলী হইতে বাদ দিয়াছি। যদি সুযোগ পাইতাম তবে সন্ধ্যাসঙ্গীতকেও বাদ দিতাম। কিন্তু সকল জিনিষেরই একটা আরম্ভ তো আছেই। সে আরস্তু কাচা এবং দুর্বল, কিন্তু সম্পূর্ণতার খাতিরে তাহাকেও স্থান দিতে হয়। সন্ধ্যাসঙ্গীত হইতেই আমার কাব্যস্রোত ক্ষীণভাবে শুরু হইয়াছে। এইখান হইতেই আমার লেখা নিজের পথ ধরিয়াছে। বিশ্বভারতী-প্রকাশিত চয়নিক নতুন সংস্করণের ভূমিকা । ] কড়ি ও কোমল হইতে আমার কবিতার পূর্বপ্রত্যস্তের আরম্ভ। তার আগের কোনো লেখাকেই আমি কাব্য বলিয়া স্বীকার করি না। কেবলমাত্র গোত্র ধরিয়া আমার কাব্যপংক্তিতে তাহাদিগকে স্থান দেওয়া ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিককে সাজে, কাব্যরসিককে কদাচ নহে। স্বনির্বাচিত সঞ্চয়িতা’র ভূমিকা (১৩৩৮) : সন্ধ্যাসঙ্গীত, প্রভাতসঙ্গীত ও ছবি ও গান এখনো যে বই-আকারে চলছে একে বলা যেতে পারে কালতিক্রমণ-দোষ।. ওই তিনটি কবিতাগ্রন্থে আর কোনো অপরাধ নেই, কেবল একটি অপরাধ— লেখাগুলি কবিতার রূপ পায় নি। রবীন্দ্র-রচনাবলীর প্রকাশকালে (১৩৪৬) তিনি যে আদিরচনাকে স্থায়ী করে রাখবার বিরুদ্ধতা করেছিলেন, রচনাবলী-সম্পাদক নিবেদন’ স্থলে রবীন্দ্রনাথের সেই লেখাটি উদ্ধৃত করে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই প্রসঙ্গে তিনি আমাদিগকে জানাইয়াছেন— ጎ Str