পাতা:চিঠিপত্র (তৃতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8s ) હે কল্যাণীয়াসু বেীমা, রাজধানীর উৎপীড়নে হাপিয়ে উঠল প্রাণ, পালিয়ে এলুম। এখানে শরতের চেহারা ফুটে উঠেছে—-হাওয়ায় একটুখানি হিমের ছোওয়া দিয়েছে, রোদ, কাচ সোনার রঙের-—গাছপালা চারদিকে ঝিলমিল করচে । নতুন বাড়িতে মিস্ত্রির আক্রমণ। অবশেষে উদয়নে আশ্রয় নিতে হোলো—হয়তো আরো দিন পনেরো এইখানেই স্থিতি। বৃহৎ পুরী শূন্ত । এখান থেকে যখন বেরিয়েছিলুম তখন প্রতি সন্ধ্যাবেলা তোমার সূৰ্য্যাস্ত প্রাঙ্গণ নৃপুরে মুখরিত ছিল এখন “নীরব রবাববীণা মুরজ মুরলী।” কেবল মনে হচ্চে দুঃসাধ্য সাধনে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম, ভুল করেছি। আমার মৃত্যসাধন গীতচ্ছন্দে উৰ্ব্বশীদের মহলে কোনোদিন আসন পাব না । অতএব এখন থেকে তাদের সেলাম জামিয়ে বিদায় নিচ্ছি। যে গানের আসর আমার আয়ত্তের মধ্যে, আন্দাজ করচি