পাতা:চিঠিপত্র (তৃতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপ ছবি নিয়েচে শুনেচ। তার মানে তারা পৌচেচে ছবির অমরাবতীতে । ওরা দামের জন্যে ভাবছিল—টীকা নেই কী করবে। আমি লিখে দিয়েছি যে আমি জৰ্ম্মানিকে দান করলুম দাম চাইনে। ভারি খুসি হয়েচে । আরো অনেক জায়গা থেকে একজিবিশনের জন্যে আবেদন আসচে। একটা এসেচে স্পেন থেকে— তার চায় নবেম্বরে । ভিয়েনা চায় ইত্যাদি ইত্যাদি । আমি যে পোটো সেই নামটাই ছড়িয়ে পড়চে কবি নামকে ছাপিয়ে থেকে থেকে মনে আসচে তোমার সেই স্টড়িয়োর কথাটা । ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে, শালবনের ছায়ায় খোলা জানলার কাছে । বাইরে একটা তালগাছ — খাড়া দাড়িয়ে, তারি পাতাগুলোর কম্পমান ছায়া সঙ্গে নিয়ে রোদপুর এসে পড়েচে আমার দেয়ালের উপর, — জামের ডালে বসে ঘুঘু ডাকৃচে সমস্ত দুপুর বেলা ; নদীর ধাব দিয়ে একটা ছায়া-বীথি চলে গেছে—কুড়চি ফুলে ছেয়ে গেছে গাছ, বাতাবি নেবুর ফুলের গন্ধে বাতাস ঘন হয়ে উঠেচে, জারুল পলাশ মাদারে চলেচে প্রতিযোগিতা, সজনে ফুলের ঝুরি তুলচে হাওয়ায় ; আশথ গাছের পাতাগুলো ঝিলমিল্‌ ঝিলমিল করচে-- অামার জানলার কাছ পৰ্য্যস্ত উঠেচে চামেলি লতা । {γι'Φ 辽