পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন দেনার বোঝা যাহা কাধে চড়িয়া বসিয়া আছে তাহী সিন্ধ বাদের সেই স্কন্ধারূঢ় ব্যক্তিটির মত,তাহার নড়িবার কোনো তাগিদ নাই— প্রতি মাসে তাহার সুদ জোগাইতেছি। ইহা হইতেই বুঝিতে পারিবেন চপলা লক্ষ্মী আমার প্রতি নিগ্ৰহ সম্বন্ধে কিরূপ আচপল— অনেকদিন হইতেই আমার প্রতি র্তাহার ব্যবহার সমভাবেই আছে । আমার হাতে দেন। কেবলি বাড়িয়া চলিয়াছিল দেখিয়া বিষয়ের ভার সম্পূর্ণ রথীর হাতে দিয়া অামি সংসারের রণে হার মানিয়া ভঙ্গ দিয়াছি। ঋণ দিয়াই সে জীবনযাত্রা আরম্ভ করিয়াছে পরিশোধ দিয়া যদি শেষ করিতে পারে তবেই সে আমার চেয়ে সৌভাগ্যবান। উচ্চ স্বদে ধার করিয়া দেওয়া ছাড়া যদি আর কোনো রাস্তা থাকিত তবে নিশ্চয় জানিবেন আমি আপনাকে এই সঙ্কট হইতে উদ্ধার করিয়া দিতাম। কিন্তু যে নিজে ডুবিয়াছে সে অন্তকে কুলে টানিয়া তুলিবে কি করিয়া ? সমাজ দেবতার কাছে বলি দিবার প্রথা আরো কতদিন চলিবে জানি না। রক্ত কি আর কিছু বাকি আছে ? দুঃখ ক্রমাগতই বাড়িয়া চলিয়াছে অথচ শিক্ষা হইতেছে না—সমাজ কি আত্মহত্যা পর্য্যন্ত না গিয়া কোনোমতেই ক্ষান্ত হইবে না ? অমঙ্গলকে স্বীকার করিতেছি প্রত্যেকেই অথচ প্রতিকার করিতেছি না কেহই, এমন সাংঘাতিক জড়ত্ব পৃথিবীর আর কোনো দেশে কি দেখা গিয়াছে ? যে সমাজ সমাজের আশ্রিতবর্গকে,সৰ্ব্বপ্রকারে পীড়া দিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত হয় না সেই সমাজকে মানিয়া চলাই অপরাধ। কুৰ্ব্বল বলিয়াই দুঃখের Շց