পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার ইচ্ছ। গুরুদের সেবা ও অতিথিদের প্রতি আতিথ্য প্রভৃতি কার্য্যে রথীর দ্বারা বিদ্যালয়ে আদর্শ স্থাপন করা হয় । এ সমস্ত কার্য্যে যথার্থ গৌরব আছে, অবমান নাই— এই কথা যেন ছাত্রদের মনে মুদ্রিত হয়। সকলেই যেন আগ্রহের সহিত অগ্রসর হইয়া এইসমস্ত সেবাকার্য্যে প্রবৃত্ত হয়। অভ্যাগতদের অভিবাদন তাহদের সহিত শিষ্টালাপ ও র্তাহাদের প্রতি সযত্ন ব্যবহার যেন সকল ছাত্রকে বিশেষরূপে অভ্যাস করানো হয় । বিদ্যালয়ের নিকট কোন আগন্তুক উপস্থিত হইলে তাহাকে যেন বিনয়ের সহিত প্রশ্ন জি জ্ঞাসা করিতে শেখে— ছাত্রগণ ভৃত্যদের প্রতি যেন অবজ্ঞা প্রকাশ না করে এবং তাহারা পীড়াগ্রস্ত হইলে যেন তাহাদের সংবাদ লয় । ছাত্রদের মধ্যে কাহারে পীড়া হইলে তাহাকে যথাসময়ে ঔষধ ও পথ্য সেবন করানো ও তাহার অন্তান্ত শুশ্রষার ভার যেন ছাত্রদের প্রতি অর্পিত হয়। ভূত্যদের দ্বারা যত অল্প কাজ করানো যাইতে পারে তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখা আবশ্যক। আপনি যদি সঙ্গত ও সুবিধাজনক মনে করেন তবে গোশালায় গাভীগুলির তত্ত্বাবধানের ভার ছাত্রদের প্রতি কিয়ৎপরিমাণে অর্পণ করিতে পারেন । দুইটি হরিণ আছে, ছাত্ৰগণ যদি তাহাদিগকে স্বহস্তে আহারাদি দিয়া পোষ মানাইতে পারে তবে ভাল হয় । আমার ইচ্ছা কয়েকটি পাখী মাছ ও ছোট জন্তু আশ্রমে রাখিয়া ছাত্রদের প্রতি তাহাদের পালনের ভার দেওয়া হয় । পাখী খাচায় না রাখিয়া প্রত্যহ আহারাদি দিয়া ধৈৰ্য্যের সহিত মুক্ত পাখীদিগকে বশ করানোই ভাল। শান্তিনিকেতনে 3 ՊՆ