পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“স্বদীর্ঘ পথে বিচিত্র রকমের দুঃখভোগ করা গেছে। প্রথমত মধুপুর ষ্টেশনে যখন পৌছিলাম ষ্টেশনমাষ্টার আশ্বাস দিলেন বম্বাইমেলের সঙ্গে আমাদের গাড়ি জড়িতেও পারেন । অবশেষে টেলিগ্রাফ করিয়া জানিলেন এত অল্প সময়ের চেষ্টায় তাহা সম্ভবপর হইবে না । মোগলসরাই যখন পৌছানো গেল ষ্টেশনমাষ্টার বলিলেন জামাদের গাড়ি মেলে যাইবে না, প্যাসেঞ্জারে জুড়িয়া দিবেন । আমি বলিলাম, কেন এমন শাস্তি ? টেশনমাষ্টার কহিলেন তিনি কোন প্রকার টেলিগ্রাফ পান নাই । আপনার গিরিধি ষ্টেশনের বাঙ্গালীপ্রভু, হয়, কোন কর্শ্বের নয়, নয় তাহাকে কেহই আমল দেয় না— একে ত সেখানেই তিন দিন গাড়ির অপেক্ষায় বসিয়া রহিলাম তাহার পরে পথে শুনিলাম কেহ কোনপ্রকার খবর পায় নাই। যে সময় বেরিলি পৌছিবার কথা তাহার বারে ঘণ্টা পরে পৌছিলাম। সেখানে একদিন ও অপেক্ষা না করিয়া সেইদিনই কাঠগোদামে আসিতে হইল— সেখানে না পাইলাম থাকিবার জায়গা, ন পাইলাম আলমোড়া যাইবার কুলি— সেই দ্বিপ্রহরে রৌত্রে অনুতারে রেণুকাকে লইয়া এৰায় চড়িয়া বাণীবাগ নামক এক জায়গায় ডাক বাংলায় গিয়া কোনমতে অপরাহ্লে আহারাদি করা গেল । যাহা হউক পথের সমস্ত কষ্ট বর্ণনা করিয়া কি হইবে ? কোন প্রকারে গম্যস্থলে আসিয়া পৌছিয়াছি—“ সমালোচনী । ১৩০৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাস, ২০ কর্ণওয়ালিস স্ট্রট, কলিকাতা মজুমদার লাইব্রেরি থেকে এই মাসিক পত্রটি শৈলেশচন্দ্র মজুমদারের সম্পাদকতায় প্রকাশিত হতে থাকে । রবীন্দ্রনাথের এবং শাস্তিনেকেতন বিদ্যালয়ের কোনো কোনো শিক্ষকের রচনা এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । পত্র ১৭ । *জবোধ ত চলিয়া গেছেন— আপাতত শান্তিনিকেতনেস্থ ፵ፀግ