পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ের আরম্ভকাল থেকেই রবীন্দ্রনাথ এখানে একটি টেকনিক্যাল বিভাগ স্থাপন করার জন্য বিশেষ সচেষ্ট ছিলেন । ত্রিপুররাজ মহারাজকুমার ব্রজেন্দ্রকিশোর দেববর্মাকে ১৩ শ্রাবণ ১৩৭৯ বঙ্গাব্দে একটি চিঠিতে লিখছেন— “বেশ শান্তির সঙ্গে অধ্যাপনার কাজ চলিয়া যাহতেছে । কেবল অর্থাভাবে ও যন্ত্রাভাবে বিজ্ঞান ও শিল্পশিক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিতেছি না ।” সেই বছরই, ৭ চৈত্র জানাচ্ছেন, “কারখানার উপযুক্ত একটি বড় ঘর বানাইতেছি— একজন বন্ধু আমাকে engine ও অন্যান্ত যন্ত্র দিবেন কথা দিয়াছেন ।" আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও জগদানন্দ রায়কে লেখা চিঠিতে ও রবীন্দ্রনাথের এই প্রচেষ্টার পরিচয় জানা যায় । বিদ্যালয়ে হাতের কাজ শেখার ব্যবস্থা প্রথম পর্বে আরম্ভ হলেও অর্থাভাবে মাঝে মাঝে বন্ধ রাখতে হয় । পরবর্তীকালে, বিশ্বভারতীপর্বে বিদ্যালয়ে তাত ও কাঠের কাজ শেখালোর অপেক্ষাকৃত স্থায়ী ব্যবস্থা করা সম্ভবপর হয় । পত্র ২ । “আসন্ন ঝড়ের মুখেই তুমি বিদ্যালয়কে ছাড়িয়া আসিয়াছিলে । ইতিমধ্যে তাহার উপর দিয়া বিপ্লব চলিয়া গেছে ।" রবীন্দ্রনাথ তার পত্নী ও মধ্যমা কঙ্কার অস্বস্থতার জন্ত দীর্ঘকাল বিদ্যালয় থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হন । তার অনুপস্থিতিকালে বিদ্যালয় পরিচালনার জন্ত তিনি অনেক রকম ব্যবস্থা প্রচলনের চেষ্টা করলেও শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয় নি । স্থবোধচন্দ্র যখন প্রথমবার বিদ্যালয় ছেড়ে যান ( ১৯•৩ খৃস্টাব্দের প্রথম দিকে ), তখন রবীন্দ্রনাথ অস্বস্ব রেণুকাকে নিয়ে হাজারিবাগে, জামাতা সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্ধের উপর শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের পরিচালন-দায়িত্ব অর্পিত, কিন্তু সত্যেগ্রনাথ বিভালয়ের Voly