পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৃঙ্খলা ফিরিয়ে জানতে সমর্থ হন নি। রবীন্দ্রনাথ দূর থেকে চিঠিপত্রে নানারকম পরামর্শ দিয়ে বিদ্যালয়ের স্থিতি ও শৃঙ্খলা ফেরানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন— আলোচ্য পত্রে সেই ‘বিপ্লব’-কালের কথা তিনি স্মরণ করেছেন । "—বন্ধুরা ও ক্রমশ আকৃষ্ট হইতেছেন ." বিদ্যালয়ের স্বচনায় স্বল্পসংখ্যক কয়েকটি ছাত্র নিয়ে কাজ মারম্ভ করলেও দু-এক বছরের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের পরিচিত বন্ধুমণ্ডলী ও তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিগণ তাদের সস্তানদের এই বিদ্যালয়ে পাঠাতে আরম্ভ করেন । এইসময় বিদ্যালয়ের নিদারুণ অর্থকষ্ট চলছিল । রবীন্দ্রনাথের কোনো কোনো সুহৃদ অর্থ-সাহায্য দিয়ে ও বিদ্যালয়ের প্রতি র্তাদের শ্রদ্ধার পরিচয় দিয়েছেন । এই চিঠি লেখার কয়েক মাস আগে ১৯৪৩ খৃস্টাব্দের প্রথম দিকে, জগদীশচন্দ্র বস্থ, মোহিতচন্দ্র সেন ও রমণীমোহন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যালয় পরিচালনার জন্ত একটি কমিটি গঠন করেছিলেন । অহমান করা যায়, এহসমস্ত বন্ধুদের কথাই রবীন্দ্রনাথ এই চিঠিতে উল্লেখ করছেন । পত্র ৩ । আলোচ্য চিঠিখানিতে ভবেন্দ্রবাবুর বিদায়-প্রসঙ্গ ও রথীন্দ্রনাথের জন্মদিবস পালনের উল্লেখ আছে । ১৮ কাতিক ১৩১০ তারিখে লেখা একখানি চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ তার বন্ধু মোহিতচন্দ্র সেনকে লিখছেন, "ভবেন্দ্রবাবু ও গোপালবাবু এই দুটি বিজ্ঞাপনের লোক একেবারেই অযোগ্য । নিশিকান্ত এলে ভবেন্দ্রবাবুকে বিদায় করে দিতে হবে ।" 專門 ভবেন্দ্রনাথকে বিদায়দানের সময় ও রথীন্দ্রনাথের জন্মদিবস ( ১৩ অগ্রহায়ণ ) –এই দুই তথ্যের ভিত্তিতে পত্ররচনার কাল অনুমিত । Woo