পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিধান সংকলনের কাজ সমাপ্ত করলে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গীয় পাঠকসমাজের আমুকুল্য কামনা করে এরূপ অভিমত প্রকাশ করেছিলেন– "শ্ৰীযুক্ত হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় গত বিশ বছর ধরিয়া বাংলা অভিধান রচনায় নিযুক্ত আছেন । সম্প্রতি তাহার কার্য্য সমাপ্ত হইয়াছে। এরূপ সৰ্ব্বাঙ্গসম্পূর্ণ অভিধান বাংলায় নাই। এই পুস্তক বিশ্বভারতী হইতে আমরা প্রকাশ করিবার উদ্যোগ করিতেছি । এই বৃহৎকৰ্ম্ম স্বসম্পূর্ণ করিবার জন্ত প্রকাশ-সমিতি স্থাপিত হইয়াছে । বাংলাদেশের পাঠকসাধারণ এই কাৰ্য্যে আমুকুল্য করিয়া বাংলা সাহিত্যের গৌরববৃদ্ধি করিবেন একান্তমনে ইহাই কামনা করি ।" ( ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯২৪ ) ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’ প্রকাশের ব্যয়বহন বিশ্বভারতীর পক্ষে সেই সময়ে সম্ভবপর না হওয়ায়, হরিচরণ যৎকিঞ্চিৎ অর্থ ও অপরিসীম সাহস সম্বল করে নিজেই এই গ্রন্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খণ্ডে প্রকাশ করতে থাকেন । ১৩৪০ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে প্রথম খণ্ড মুদ্রিত হয়, শেষ খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৩.৫৩ বঙ্গাব্দে । “আশ্রমে যারা শিক্ষক হবে তারা মুখ্যত হবে সাধক’– রবীন্দ্রনাথের এই কল্পনা হরিচরণের মধ্যে যথার্থভাবে সত্য হয়ে উঠেছিল । তার কর্মের ক্ষেত্রে তিনি আজীবন সাধকের ব্রতই উদযাপন করে গিয়েছেন । রবীন্দ্রনাথের সংস্পশে এসেই হরিচরণ এইভাবে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ পেয়েছিলেন । শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের প্রথম যুগে যে-সমস্ত শিক্ষক এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালন-ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পত্রালাপের প্রয়োজন সর্বদাই দেখা দিত । হরিচরণ কখনো পরিচালন-ব্যাপারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না ; সম্ভবত এই কারণে এবং কতকটা হরিচরণের স্বভাবগত সংকোচের ফলেও রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার পত্রালাপ বিরল । এ-পর্যন্ত তাকে লেখা রবীন্দ্রনাথের একখানি NE8 (