পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—সম্ভ যেটাকে অত্যন্ত বড় এবং কঠিন ও হুঃসহ বলে মনে হয়েছে সে সমস্তই ছায়ার মত হয়ে গেছে— এমনি করে একদিন সমস্ত বাদবিবাদের বাইরে ভেসে চলে যাব তার পরে যা সত্য তাই স্থির হয়ে থাকবে— তাতে আমার ব্যক্তিগত কোনো লাভও থাকবে না কোনো লোকসানও থাকবে না । দ্বিজেন্দ্রবাবু আমাকে কিছু বলে নিয়েছেন আমিও তাকে কিছু বলে নিয়েছি – তার পরে এইখানেই খেলাটা শেষ হয়ে গেলেই চুকে যায়— আন্তত আমি ত এইখানেই চুকিয়ে দিলুম। এতে বৃথা অনেকটা সময় যায়— আমার ত আর সে সময়ের বাহুল্য নেই । আগুনের উপর কেবলি ইন্ধন চাপিয়ে আর কত দিন এই রকম বৃথা অগ্নিকাণ্ড করে মরব ? দূর হোক গে, সমস্ত নিঃশেষে মিটিয়ে দিয়ে প্রাণটাকে জুড়োতে পারলে র্বাচি । ঈশ্বর করুন তার কথা ছাড়া আর কারো কথা যেন এ বয়সে আমাকে টানাটানি করে না মারে— সব পাপ শাস্ত হোক । পৃথিবীতে আইন বলুন আদালত বলুন সবই ত আধাখেচড়া —সম্পূর্ণতা কোন ব্যবসায়েই বা আছে ? এই সমস্ত জড়তা জটিলতা অক্ষুটতার মধ্যে দিয়েই মানুষ আপনার ইচ্ছাকে সফল করতে চেষ্টা করচে। যে দেশে সকল বিচারকই ধৰ্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির সেখানে আইন আদালতের প্রয়োজনই হয় না। চোর আসনে স্থান পায়। যে উপকরণে চোরকে গড়ে সেই উপকরণে বিচারককে গড়বে না এমন স্বতন্ত্র কারখানাঘর ত জগতে নেই ।