পাতা:চিঠিপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এখানকার লাইব্রেরি হইতে বই লইবার , যে প্রস্তাৰ করিয়াছিলেন— পাঠানো ও ফিরিয়া পাঠানোর উৎপাত ও তজনিত ক্ষতির আশঙ্কা ছাড়া আর কোনো আপত্তির কারণ দেখি না । কেননা দেখিতেছি অধ্যাপকগণ ছুটির সময় বাড়িতে বই লইয়া যাওয়াই নিয়ম করিয়া তুলিয়াছেন এমন অবস্থায় আপনার বেলায় লাইব্রেরির দ্বার রুদ্ধ করা চলিবে না। আপনার যে বই আবশ্যক হইবে অজিভকে লিখিবেন— অজিতই লাইব্রেরির অধ্যক্ষ । রথী ও সন্তোষ আগামী জানুয়ারিতে গ্রাজুয়েট করিবে । রথী তাহার পরে সেখানে কোনো কৃষিক্ষেত্রে হাতেকলমে কাজ করিয়া পাকা হইয়া আসিবে এইরূপ সংকল্প করিয়াছে, কিন্তু সন্তোষের পিতার মৃত্যুসংবাদ পাইয় তাহার কোন পথ অবলম্বন করিবে তাহা বলিতে পারি না— হয়ত উদ্বেগগ্রস্ত হইয়া দেশে ফিরিয়া আসিতে চেষ্টা করিবে । পোড়া দেশের যেরূপ অবস্থ৷ তাহাতে আমার ইচ্ছা করে না যে তাহারা আসে । মাঝে মাঝে চিঠিতে আপনাদের সংবাদ দিবেন। আর যদি সুযোগমত দেখা দিতে পারেন ত কথাই নাই। গদ্যগ্রন্থাবলী নিয়মমত পাইতেছেন ত ? শেষ বই বাহির হইয়াছে *সমাজ” । তাহার পর হইতেই ছাপাখানার আর সাড়া পাওয়া যায় নাই । ইতি ৩০শে কাৰ্ত্তিক ১৩১৫ বোলপুর ভৰদীয় জীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 30