পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুলতে হবে, তাকে এমন কিছু করে তুলতে হবে যা অন্ত কোনো দেশের প্রতিষ্ঠানের নকলমাত্র নয় । সৌভাগ্যক্রমে মুখুজ্জে মশায় কেবলমাত্র পণ্ডিত ছিলেন না, নিভীক চিত্তশক্তির বলে পুরাতনের মধ্যে নূতনের উদ্বোধন করতে পারতেন । তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো একটা শ্রেণীগত কাঠামোর মধ্যে এ টে সেঁটে ঠেসে রেখে তার পর থেকে তুষ্ট চক্ষু বুজে অন্ধ প্রদক্ষিণের জন্তে বাধা প্ৰণালীতে চক্রপথ সৃষ্টি করতে চাননি । সেই কারণেই তিনি ভুল ও করেছিলেন, কিন্তু সব ভুলকে অতিক্রম করে সৃষ্টি করেছিলেন । পণ্ডিত সরকার মশায় শাস্ত্র মিলিয়ে এবং সৰ্ব্বদা উপর ওয়ালাদের প্রতি দৃষ্টি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষতার কাজ করতে গিয়েছিলেন কিন্তু তিনি কোনো কূলই রক্ষা করতে পারেন নি । তার এইরকম বিশুদ্ধ পণ্ডিতী মনোভাববশতই তিনি নিশ্চয় ঠিক করে বসেচেন যে আমার বিদ্যালয়ে আমিও জোড়াতাড়ার কাজে লেগেচি ৷ ইচ্ছা করলেও তা আমার পক্ষে অসাধা । আমার কোনো কৰ্ম্ম অনুষ্ঠানকে পণ্ডিত মশায় তার সযত্নপঠিত পুরাতন ইস্কুল বইয়ের থেকে সঙ্কলিত স্বনিদিষ্ট কোনো জড় প্রণালীর মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পারবেন না । তাকে ঠিকমতে বোঝা তার পক্ষে সম্ভবপর নয়। কারণ আমি পাণ্ডিত্যবজ্জিত,-– ধ্যানদৃষ্টিতে সমগ্রভাবে দৃষ্ট সত্যরূপকে জীবনের সৃষ্টি প্রণালীতে অন্তর থেকে বাহিরে উদ্ভিন্ন করে তোলবারই সাধনা করে থাকি । আমার বাক্যের রচনা ও Y S (t