পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার মত এই যে, ভারতবর্ষের বুকের উপর যত কিছু দুঃখ আজ অভ্ৰভেদী হয়ে দাড়িয়ে আছে তার একটিমাত্র ভিত্তি হচ্চে অশিক্ষা । জাতিভেদ, ধৰ্ম্মবিরোধ, কৰ্ম্মজড়ত, আর্থিক দৌৰ্ব্বল্য, সমস্তই অঁাকড়ে আছে এই শিক্ষার অভাবকে । সাইমন কমিশনে ভারতবর্ষের সমস্ত অপরাধের তালিকা শেষ করে ব্রিটিশ শাসনের কেবল একটিমাত্র অপরাধ কবুল করেচে সে হচ্চে যথেষ্ট পরিমাণে শিক্ষা বিধানের ক্রটি । কিন্তু অবে কিছু বলবার দরকার ছিল না । মনে করুন যদি বলা হয়, গুহস্থ সাবধান হতে শেখে নি, এক ঘর থেকে আর এক ঘরে যেতে চৌকাঠে হু চট লেগে সে আছাড় খেয়ে পড়ে, জিনিষপত্র কবলি হারায় তার পরে খুজে পায় না, ছায়। দেখলে তাকে জুজু বলে ভয় করে, নিজেব ভাইকে দেখে চোর এসেচে বলে লাঠি উচিয়ে মার ে যায়— কেবলি বিছানা আঁকড়ে পড়ে থাকে, উঠে হেঁটে বেড়াবার সাহসই নেই, ক্ষিধে পায় কিন্তু খাবার কোথায় আছে খুজে পায় না, অদৃষ্টের উপর অন্ধ নির্ভর করে থাকা ছাড়া অন্য সমস্ত পথ তার কাছে লুপ্ত— অতএব নিজের গৃহস্থালির তদারকেল ভার তার উপরে দে ওয়া চলেন। — • রিপরে সব শেষে গলা অত্যন্ত খাটো করে যদি বলা হয়, আমি ওর বাতি নিবিয়ে রেখেচি তাহলে সেটা কেমন হয় ? ওরা একদিন ডাইনি বলে নিরপরাধাকে পুড়িয়েচে, পাপিষ্ট বলে বৈজ্ঞানিককে মেরেচে, ধৰ্ম্মমতের স্বাতন্ত্র্যকে অতি নিষ্ঠুরভাবে পীড়ন করেচে, নিজেরই ধৰ্ম্মের ভিন্ন সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রাধিকারকে খৰ্ব্ব করে বেখেচে, এ ছাড়া কত অন্ধতা কত মূঢ়তা ר כ\ מ