পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস অনেকখানি । বিপরীত ঘুরপাক খেয়ে বেড়াচ্চি। ইংরেজি ভাষায় বলে “গড়িয়ে-যাওয়া পাথর শু্যাওলা জমাতে পারে না।” কোথাও এবং কোনো সময়ে একটুখানি বসে যে লিখব সে আশঙ্কা মাত্র নেই। যদি বা ছদশ মিনিট বসবার সময় পাই, দেহমনে ঘূণি হাওয়ার দম শীঘ্র বন্ধ হতে চায় না। সেই ঘুর বন্ধ না হলে সামান্ত একখানা চিঠি জমানোও শক্ত হয়, “প্রবন্ধ পরে কী কথা”— পাক-খাওয়া মন বাক্যগুলোকে যেন তুলো ধুনে নয়-ছয় করতে থাকে । কাল ছিলেম মালয় উপদ্বীপে, আজ এসেছি সুমাত্রায়— আজ বিকেলে এখান থেকে পাড়ি দেব যবদ্বীপে । সেখানে গিয়েও ঘুর ঘুর ঘুর। তার উপরে বক্‌ বক্‌ বক্‌ ৷ তোমার কন্যার নামের ফর্দ সেদিন তাড়াহুড়ো করে পাঠিয়েছি— কারণ এখানে সব কাজই তাড়াহুড়োর ঝাপতালে— দিনগুলো মোটরগাড়ি চড়ে ছোটে, স্বপ্ন দেখি দ্রুতলয়ে। পছন্দসই কিছু জুটল কি ? চারু শ্ৰী, সৌম্যশ্রী, সোম শ্রী, শাস্তি শ্রী, স্বচ্ছ শ্রী, স্নিগ্ধ শ্রী, রম্যশ্রী কিন্তু ওদিকে তোমার নামকরণের দিন বোধ হয় চুকে গেছে। তোমার চিঠি যখন আমার হাতে পৌঁছল তখন সে চিঠি তোমার শুভদিনের পঞ্জিক। হিসাব করে পৌছয় নি— তখনি দেরি হয়ে গিয়েছিল । এই চিঠিটা তোমাকে লিখচি, কেবলমাত্র চিঠি লেখা আমার পক্ষে অত্যস্ত কঠিন এই খবরটি দেবার জন্তে । কিন্তু সেই খবর দিতে গিয়ে যদি লম্বা চিঠি লিখি তাহলে চিঠির দৈর্ঘ্য অামার কথার প্রতিবাদ করবে। এইজন্তে নীচের কাটা ר : ב ר כוא כי