পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হঠাৎ সন্দেহ ঘটল । ওদিকে যতক্ষণ সভায় সভায় অহিংস্রতার - মন্ত্র মুখে আউড়িয়ে পদে পদে তীব্র বিদ্বেষের চর্চা চলছিল তখন দেশের অধিকাংশ লোক—যাদের মনের মধ্যে হিংসা আছে ও হিংস্রতার উপর ষোল আনা শ্রদ্ধা আছে—তারা ভাবছিল “এ বেশ হচ্চে । দেশকে মদ খাওয়ানো দরকার— কিন্তু যে মহাত্মাজি সেটাকে গঙ্গাজল বলে খাওয়াচ্চেন, তিনি আমাদের সকলের চেয়ে চতুর । সুড়ির দোকানকে পুণ্যতীর্থ করে তোলাই আমাদের দেশে মাংলামিকে পাকা করে তোলবার উপায় ।” ইংরেজ গবর্মেণ্ট যে সয়তানী এই মন্ত্রটাকে নিশিদিন জপ করানো যেতে লাগ ল । সঙ্গে সঙ্গে গান্ধিজি বারবার সকলকে ডেকে বলতে লাগ লেন-“সয়তানীকে ঘৃণা কর কিন্তু সয়তানের প্রতি প্রেম যেন অক্ষুন্ন ও প্রবল থাকে।” কিন্তু যারা সরলবুদ্ধির লোক তারা এত অসীম সূক্ষ্মতা ধারণা করতেই পারে না । তাদের সহজেই মনে হয় যে, মার জিনিষটা abstract, একটা গড়িয়ে আসা পাথর ও মারে, লাফিয়ে ওঠা ঢেউ ও মারে, আবার মেছোবাজারের গুণ্ডাও মারে—মারের উপর রাগ করার কোনো মানেই নেই—যে ব্যক্তি মারে রাগটা একমাত্র তারি পাওনা, অতএব সয়তান বজিত সয়তানীর উপর কোন নালিশই থাকতে পারে না—সয়তানটার উপরেই রাগ করতে হবে। যাই হোক নন-কোঅপরেশন উদ্যোগের তুটো বড় জিনিষ টি কল না, একটা হচ্চে ৩১ ডিসেম্বর-সেটা টি"কল না তার কারণ, সাধনার tR e g