পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার ধারণা একেবারে বদ্ধমূল করে দেয় যে আমি একজন কবি । সে ধারণাটার মস্ত দোষ এই যে, কিছুই না করাটা যে আমার পক্ষে অকৰ্ত্তব্য নয় এমন একটা বিশ্বাস পেয়ে বসে । মনে হয় জগৎটা মস্ত, কালটাও নিরবধি, এবং স্বষ্টিকৰ্ত্তা যে স্থষ্টি করে চলেচেন তা অতি বিচিত্র,— এবং সেই স্মৃষ্টির মধ্যে আমি যদি ঘাসের ফুলও হই তবে সেই অত্যাশ্চর্য্য ব্যাপারটাকে তেমনি করেই মেনে নিতে হবে যেমন করে চন্দ্রসূৰ্য্যগ্ৰহতারাকে মানতে হয় । আমার চরম প্রয়োজনটা কি তা আমি জানি নে কিন্তু আমি সত্য যা তা আমাকে পূরোপুরি হতে হবে এইটুকু জানি । কিন্তু আমি যে সত্য কি সে খবরটা নানা দূত নানা রকম করে শুনিয়ে যায় । মুক্ষিল এই যে, চৌমাথার ধারে আমার বাসা হয়েচে– জগতের Associated Pressএর আপিসটা তারই উপরের তলায়— সেখানে আমার নিজেরই খবরটা নানা রকম পাঠান্তরে নানা দিগন্তর থেকে এসে জমা হয় । কোনো একটা এক-রাস্তার ধারে যদি আমার বাসা মিলত, তাহলে আমার এই সাতায় বছর বয়সে হয় আমি কংগ্রেসের প্রেসিডেণ্ট হতুম, নয় পাচালির দল করে গৌড়ীয় সুধীজনের মনোরঞ্জন করতুম— কিছু না হলেও তবু আলিপুরের জজ আদালতের সামলা-পদ্মবনে মামলা-বিলাসিনী যে লক্ষ্মী বিরাজ করেন তার সেবকের ফদে আমার একটা নাম লেখা হয়ে যেত। যাক এখন আর পরিতাপ করে কোনো লাভ নেই। কিন্তু আপনি আমার কাছ থেকে প্রবাসীর প্রবন্ধ আদায় করবার জন্তে নানা কৌশলে চেষ্টা করে থাকেন এ রকম Q Q