পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরুদ্ধ। রাশিয়ায় সোভিয়েট এ কথাটা বুঝেচে । তারা ব্যক্তিগত লোভের থেকে ধনকে মুক্ত করতে চায়। যদি পারে তাহলেই চঞ্চলা লক্ষ্মীকে তারা সত্য করে পাবে । বিষয়লুব্ধ দৈত্যর লক্ষ্মীকে আপন ব্যাঙ্কের দুর্গে কড়া পাহারায় বন্দী করেছিল । তাই লক্ষ্মী আজ তার অদৃশ্য রাস্তা দিয়ে পালাচ্চেন। জীবনের সব দুর্মুল্য আনন্দই হচ্চে এই রকমের মুক্ত সম্পদ। তাকে বাধতে গেলেই নিজেকে বাধি। আমি তাই বলি মুক্তি মানে ত্যাগ নয় বৈরাগ্য নয়, আপন অনুরাগের হাতকড়ি খসিয়ে দেওয়া, তাকে নিরাসক্তির সিংহাসনে রাজা করা— তাকে পাওয়া কিন্তু ধরা নয়। আমার লেখা সম্বন্ধে আজকাল কেউ কেউ ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে বলে তাতে প্যাশান নেই— অর্থাৎ প্রেম আছে কিন্তু তার শিকল নেই— ঝমঝমানি শুনতে পায় না বলে মনে করে বুঝি সব শূন্য, কিন্তু অনেক সময়েই আচলে বাধা সোনার গিরেটাই থাকে, সোনা পড়ে খসে । ইতি ২৪ নবেম্বর ১৯৩১ দাদ! >Wう>