পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিঃসংসত্ত আছি । তোমার প্রতি আমার যথেষ্ট স্নেহ আছে তার কোনে অভাব কল্পনা কোরো না । নানা মতামত নিয়ে তোমার সঙ্গে তাiনক তর্ক করেচি, সেও তোমাকে স্নেহ করি বলেই । তোমার চিঠি থেকে আমার দেশের অনেক কথা জানতে পেরেচি--- তার কোনো অংশ সুন্দর, কোনো অংশ নিরালোক এবং অনাৰ্য্য -- সেটার সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকা সম্ভব নয় উচিতও নয়। সেই জন্তে তা নিয়ে আলোচনা করেচি, তোমাকে দলে টানবার জন্তে নয় কিন্তু কৰ্ত্তব্যবোধে । আঘাত অনেক পেয়েছ, সে অামার ভালো লাগেনি । এ সব তর্ক এখানেই শেষ হোলো । ক্লান্ত লেখনীকে আর খাটিয়ে মারতে ইচ্ছা করে না । আমার সঙ্গে কোনো ব্যবহার করার মধ্যে ঐহিক ও পারত্রিক সঙ্কোচের কারণ তোমার মনে আছে। অামি তার উপলক্ষ্য হতে ইচ্ছা করি নে— তোমাকে অকৃত্রিম স্নেহ করি বলেই । আমার চিন্তার, অামার সাধনার, অামার জীবনযাত্রার পথ তোমার থেকে অনেক দূরে । তুমি সম্পূর্ণ তাকে বুঝতে পারবে না। তা নিয়ে আক্ষেপ করা মূঢ়ত । কিন্তু তৎসত্ত্বেও তুমি আমাকে যদি শ্রদ্ধা করতে পারো সে কম কথা নয় । পরলোকগত ত্রিবেদীমশায় আমার সেই রকম বন্ধু ছিলেন । আমার মতের জন্তে নয়, সকল তর্কবিতর্কের বহিৰ্ভত মনুষ্যত্বেরই জন্তে । সেই অকৃত্রিম মৈত্রীর স্বাদ আমি তার প্রতি থেকে অনুভব করেছিলুম। অতএব জানি সংসারে সেটা দুর্লভ হলেও অলভ্য নয় । তোমার ছেলেমেয়েকে আমার অন্তরের আশীৰ্ব্বাদ দিয়ে । ইতি ৩১ আগষ্ট ১৯৩১ দাদা > や t